না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দেশের খ্যাতিমান ফটোগ্রাফার চঞ্চল মাহমুদ। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তিনি বিগত কয়েক বছর ধরে শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। চার দিন আগে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে জীবন যুদ্ধে পরাজিত হলেন এই সৃজনশীল মানুষটি।
দেশের প্রথম সারির নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শর্মিমালা, সিনিয়র ফটোগ্রাফার সাহাদাৎ পারভেজসহ অনেকেই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
চঞ্চল মাহমুদের ছাত্র সাহাদাত পারভেজ বলেন, ‘ওনার কিডনি ও হার্টের অবস্থা ভালো ছিল না। আগে পাঁচবার তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন। আজকেই দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। মোট সাতবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।’
বনানী কবরস্থানে শনিবার যোহরের নামাজের পর চঞ্চল মাহমুদের দাফন হতে পারে বলে জানিয়েছেন সাহাদাত পারভেজ।
সাড়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করেছেন চঞ্চল মাহমুদ। সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে নানা ধরনের ফটোগ্রাফিতে ভূমিকা রাখলেও ফ্যাশন ফটোগ্রাফিতে তার অবদান সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ”লিজেন্ড ফটোগ্রাফার চঞ্চল মাহমুদ এর একটা ক্লিক এ আজ আমাদের দেশে অনেকেই ষ্টার/ সুপারস্টার। সেই নামগুলো হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে উঠলো। চঞ্চল ভাইয়ের একটাই ইচ্ছা ছিল, তাকে সবাই একটু দেখতে যাক।তার হাত ধরে বলুক ‘চঞ্চল ভাই আপনি কেমন আছেন?”
‘চঞ্চল মাহমুদ ফটোগ্রাফি’ নামে তার একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। তার ছবি নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সঙ্গেও যুক্ত।