মার্চ–এপ্রিল দুই মাস মেঘনায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধ অমান্য করে মাছ শিকারে নেমেছেন জেলেরা। তবে সাগর-নদীতে তেমন ইলিশ মিলছে না। আর পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।
চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুরসহ অনেক জায়গায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ইলিশ শিকারে নামছেন জেলেরা। আর এসব মাছ আড়তে গোপনে চলছে বেচাকেনা। ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ওজন ও মান অনুযায়ী ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত। কোল্ডস্টোরেজে রাখা এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা কেজিতে। আর কোল্ডস্টোরেজ ছাড়া এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২ হাজার ৮০০ টাকায়।
লক্ষ্মীপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেক জেলে মাছ শিকার করছেন। সেসব মাছ চড়া দামে গোপনে বিক্রি করছেন জেলেরা।
বিশেষ করে ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে। আর ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া বড় আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা কেজিতে।
মৎস্য কর্মকর্তা মো.বিল্লাল হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামলে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। জনবল সংকটের কারণে সঠিকভাবে অভিযান চালানো যাচ্ছে না। তারপরও অল্প জনবল নিয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বরিশালে খুচরা বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ২ হাজার ৪০০ টাকা। আর এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা কেজিতে।
‘ইলিশের রাজধানী খ্যাত’ চাঁদপুরেও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কয়েকটি আড়তে গোপনে চলছে বেচা-কেনা। তবে দাম বেশি হওয়ায় বৈশাখের আগে ইলিশ কিনতে এসে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই।
বরগুনার পাথরঘাটায় এক কেজি ওজনের ইলিশের প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।