রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় রক্ত দিতে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ছুটে আসছেন সাধারণ মানুষ। পজিটিভ রক্তদাতার পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে বিরল নেগেটিভ গ্রুপের ডোনারও।
মঙ্গলবার সকালে ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রক্তদাতারা ভিড় করছেন। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল রক্তদাতাদের তালিকা প্রস্তুত করছে। দেখা গেছে, পজিটিভ গ্রুপে রক্তদাতার সংখ্যা বেশি হলেও এ নেগেটিভ, ও নেগেটিভের মতো বিরল গ্রুপের ডোনারও উপস্থিত।
মিরপুরের রবিউল ইসলাম বলেন, “আমার রক্তের গ্রুপ এ নেগেটিভ। টিভিতে দেখলাম নেগেটিভ রক্তের সংকট, তাই চলে এসেছি।”
ফরিদপুরের সাকিব জানান, “ও পজিটিভ রক্ত দিতে এসেছি। ছোট শিশুদের রক্ষা করতে পারলে তা-ই বড় পাওয়া।”
ফার্মগেট থেকে আসা মাসুদা বেগম বলেন, “আমি ও নেগেটিভ, আমার সঙ্গে দুই বোনকে এনেছি—একজন পজিটিভ, একজন নেগেটিভ।”
বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত রক্তদাতার সংখ্যা যথেষ্ট। তবে কিছু নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন রয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জন নিহত হয়েছেন এবং ৭৮ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২০ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।