কঠোর লকডাউনেও রূপগঞ্জে চুরি ও ডাকাতি বৃদ্ধি।
নারায়ণ সরকার, রূপগঞ্জঃ
সারা দেশের ন্যায় রূপগঞ্জেও চলছে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন। লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যস্ত উপজেলা প্রশাসন। আর এ সুযোগে দুষ্কৃতকারীরা ব্যস্ত চুরি, ডাকাতি আর ছিনতাইয়ে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো বাড়িঘওে, দোকানটাপে অথবা রাস্তার চুরি , ডাকাতিসহ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ বলছে, লোকবল সঙ্কট আছে। তারপরও লোকজন অভিযোগ নিয়ে থানায় আসলে দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চোর-ডাকাতের উৎপাত দিনদিন বেড়েই চলছে। কখনো বাড়ি-ঘরে, আবার কখনো দোকানপাটে চুরি-ডাকাতির ঘটনা যেনো নিত্যনৈম্যতিক ব্যাপার।
সম্প্রতি ৮/১০টি চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও এর প্রতিকার মিলছেনা। ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলেও চুরির ঘটনা বলে অভিযোগ নেন থানা পুলিশ। এমন অভিযোগও রয়েছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। বর্তমানে চোর আর ডাকাতের আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গতকাল সোমবার গভীর রাতে কাঞ্চন পৌরসভার কালাদী এলাকার মোবারক হোসেনের বাড়ির গেইটের তালা কেটে ডাকাত দল বাড়িতে ঢুকে তার ঘরে ও ভাড়াটিয়াদের ঘরের দরজা বাহিরে থেকে তালাবদ্ধ করে দেয় ডাকাত সদস্যরা। যেখানে তালা দেয়ার ব্যবস্থা নেই সেখানে জিআই তার দিয়ে আটকিয়ে দেয়।
পরে বাড়ি সংলগ্ন গাড়ির গ্যারেজের ৩টি তালা কেটে ২টি অটো ও ২ দুইটি মিশুক ডাকাতি করে নিয়ে যায় দুধর্ষ ডাকাত দল। এদিকে গত ২২ জুলাই কাঞ্চন পুলিশ ফাড়ির পাশে স্বর্ণব্যবসায়ী তপন সরকারের দোকানের চালা কেটে ভেতরে ডুকে ডাকাত দল নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার সহ ১৫-২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। দোকানে ফেলে যায় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি।
সাম্প্রতিক সময়ে কালাদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মনির হোসেনের বাড়ির গেইটের তালা ভেঙ্গে রানা ভুইয়া ও সামীনুর ভুইয়া নামের দুই ভাড়াটিয়ার ২টি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায় এই চক্র। প্রতিটি ঘটনায় আলাদা আলাদা ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।
তবে ডাকাতির ঘটনাকে চুরির ঘটনা বলে অভিযোগ নেয় থানা পুলিশ। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এছাড়া প্রতি ঘটনায় আইনের আশ্রয় চেয়েও ফলাফল পায়নি বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
সম্প্রতি ৮-১০টি চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও প্রতিকার হয়নি। তাই চোর-ডাকাত চক্রের ভয়ে একপ্রকার আতংক নিয়েই বসবাস করছে স্থাণীয় মানুষজন। এসব ঘটনায় আইনের সুদৃষ্টি চেয়েছেন ভুক্তভোগী সহ স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান জানান, এসব ঘটনা উৎঘাটন করে অভিযুক্তেদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে প্রতিনিয়ত পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। টহল পুলিশও অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে আসলে অবশ্যই অবরাধীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না। আমাদের লোকবল সঙ্কট রয়েছে সত্য। তারপরও আমরা সব ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি