পটুয়াখালীতে লোকসানের শঙ্কায় প্রান্তিক খামারিরা।
মিজানুর রহমান অপু,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
দেশব্যাপী পশু বেঁচা-বিক্রির ভরা মৌসুম থাকা সত্বেও পশুর হাট স্থাপনে বিধিনিষেধ থাকায় কোরবানীর পশু নিয়ে চরম দুঃশ্চিন্তায় পটুয়াখালীর প্রান্তিক খামারিরা।
জানা যায়, পটুয়াখালীতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সনাতন ও স্বাভাবিক পদ্ধতিতে ক্ষেতের সবুজ ঘাস, কুটা, খইল, ভূশি ও ভাতের মার খেয়ে কোরবানীর পশু বড় হয়েছে। প্রাথমিক তথ্যমতে, জেলায় কোরবানীর জন্য বিভিন্ন খামারে ও ব্যক্তিগতভাবে প্রায় ১লক্ষ ২৩ হাজার ৪শ ৭৮টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। তবে জেলার অন্যতম খামার হচ্ছে মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের সততা এগ্রো ফার্ম। যেখানে শতাধিক দেশী বিদেশী গরুর মধ্যে বিশেষ আকর্ষণ “বরিশালের বস” নামে একটি ষাঁড় গরুর দাম হাকা হয়েছে ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু গরুর হাট ক্রেতা শুন্য এবং বিধিনিষেধ থাকায় গরু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে এসব খামারিরা।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুরের স্থাণীয় খামারি রশিদ জানান, গত বছর মহামারীতে অনেক টাকা লোকসানের পরও এবার ধারদেনা করে প্রাকৃতিক উপায় নানা জাতের প্রায় ২২ লক্ষ টাকার গরু প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু হাটে ক্রেতা বিক্রেতা কম থাকায় লোকসানের শঙ্কায় ভুগছেন তিনি। অপরদিকে জেলায় ৮টি অন-লাইন প্লাটফর্ম চালু করেছে সরকার। প্রান্তিক খামারিদের বেশিরভাগই অনলাইন বেচা-কেনায় অজ্ঞ।
গলাচিপা উপজেলার খামারি মতলেব হাওলাদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, অনলাইন সম্পর্কে তার ধারণা না থাকায় বড় লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন তিনি। হাটে পর্যাপ্ত গরু ছাগল থাকা সত্বেও বিধিনিষেধ আরোপ করায় ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। বাদুরা হাটে লোকসমাগম বেশি থাকলেও সবাই গরু দেখতে আসে কিন্তু গরু কিনতে কম আসে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রাণি সম্পদ বিভাগের তত্বাবধায়নে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায় পশু ক্রয় ও বিক্রির জন্য জেলায় ৮টি প্লাটফর্ম চালু করা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন স্থানে চলছে পশু ক্রয়-বিক্রয়।