ইরান-ইসরায়েল সরাসরি সংঘাতের ১৮তম দিনে এসে এবার ভিন্ন কৌশল বেছে নিয়েছে তেহরান। শনিবার সকালে ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’-এর আওতায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সমন্বয়ে ইসরায়েলে সর্বশেষ পাল্টা হামলা চালায়। তবে এবার প্রথমবারের মতো ড্রোনকে হামলার অগ্রভাগে রাখে ইরান। এতে ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ হয় এবং উত্তরাঞ্চলের এক আবাসিক ভবনে ড্রোন সরাসরি আঘাত হানে।
তেহরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম তাসনিম ও আইআরজিসি জানায়, শাহেদ-১৩৬ মডেলের যুদ্ধ ও আত্মঘাতী ড্রোনসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর, সামরিক কেন্দ্র, রসদ গুদাম এবং সেনা অপারেশন ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়।
আইআরজিসির দাবি,
“ইসরায়েলি দখলদারদের সবচেয়ে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও এসব ড্রোন আটকাতে পারেনি। ফলে দখলদাররা আবারও আশ্রয়কেন্দ্রে পালাতে বাধ্য হয়েছে।”
এদিকে, ইসরায়েলের জরুরি সেবাদাতা সংস্থা ম্যাজেন ডেভিড অ্যাডাম জানিয়েছে,
“উত্তরাঞ্চলে একটি দুইতলা ভবনে ড্রোন আঘাত হেনেছে, তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।”
এর একদিন আগে, শুক্রবার, হাইফায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৩১ জন আহত হন এবং বন্দর নগরীর আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়।
আইআরজিসি বলেছে, তারা এখন থেকে নিয়মিতভাবে এই “হাইব্রিড অপারেশন” চালিয়ে যাবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান এই কৌশল বদলের মাধ্যমে যুদ্ধের নতুন ধাপে প্রবেশ করছে।
তথ্যসূত্র: তাসনিম নিউজ, আল জাজিরা, ম্যাজেন ডেভিড অ্যাডাম.