বগুড়া গাবতলীর ইছামতী নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর ) সকাল ৯টায় উপজেলার তরনীহাট ব্রিজের উত্তর এলাকা থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
সরেজমিনে দেখা যায়, নৌকাবাইচ উপভোগ করতে সকাল থেকেই ইছামতীর দুই পাড়ে বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলা পৌর শহরসহ আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভীড় করে।
ওই এলাকার শিশু, কিশোরসহ সব বয়সী নারী-পুরুষ উৎসবে মেতে ওঠে। নৌকাবাইচ ঘিরে নদীর দুই পাড়ে বসে গ্রামীণ মেলা। উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিংয়ের আয়োজনে গাবতলী, শাজাহানপুর, ধুনট, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা থেকে ছোট-বড় নানা বাহারী রঙের ১১টি নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা দেখতে ইছামতীর দুই পাড়ে অন্তত ২-৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে হাজার হাজার দর্শকের সমাগম ঘটে। মাঝি-মাল্লাদের হই হই রবে নেচে ওঠে ইছামতী নদীর দুই পাড়। প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডে ১১টি দল অংশগ্রহণ করে। পরে সেখান থেকে ৮টি দল কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিযোগিতা করে। পরে সেমিফাইনালে উড়ালপঙ্ক্ষী বনাম সততা এবং আল্লাহ ভরসা বনাম ইনশাআল্লাহর মধ্যে লড়াই হয়।
সেমিফাইনালে জয়ী হয়ে উড়ালপঙ্ক্ষী ও ইনশাআল্লাহ ফাইনালে যায়। ফাইনালে ইনশাআল্লাহকে হারিয়ে উড়ালপঙ্ক্ষী চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতায় আল্লাহ ভরসা তৃতীয় ও সততা চতুর্থ স্থানের অধিকারী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি শাহনেওয়াজ জাকিরের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।
চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি বড় ষাঁড়, রানার্সআপ দলকে একটি ষাঁড় এবং তৃতীয় ও চতুর্থ দলকে একটি করে ছাগল উপহার দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক লালু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু, গাবতলী মডেল থানার ওসি সনাতন সরকার, স্থানীয় চেয়ারম্যান ইউনুস আলী ফকির প্রমুখ।