চাটখিলে স্ত্রীর বিচার চেয়ে এবং নিজের সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন হাজী সেলিম নামের এক লন্ডন প্রবাসী।
শুক্রবার (১৬ জুলাই দুপুরে উপজেলার সাধুরখিল গ্রামে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, জন্মসূত্রে বাংলাদেশী হলেও তিনি একজন ইংল্যান্ডের নাগরিক। ১৯৮৯ সালে আমি আমাদের গ্রামের আবদুল কাদেরের বড় কন্যা সুজানা আক্তারকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন তিনি। এক পর্যায়ে স্ত্রীকেও ইংল্যান্ডে নিয়ে যান।পরে তার ৩ বোন ও মাকেও ইংল্যান্ডে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে জন্ম নেয়া একমাত্র সন্তান শিখা মনিকে আমেরিকা প্রবাসী পাত্রের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। সে বর্তমানে স্বামীর সাথে আমেরিকাতে আছে। ২০০৭ সালের দিকে তার স্ত্রীর সুজানার সাথে হাজী সেলিমের পারিবারিক কলহ তৈরী হয়।নেমে আসে তার ওপর নির্মম অত্যাচার।এক পর্যায়ে সুজানা নানা কৌশলে বাড়ির কাজের লোকদের সহযোগীতায় ওষধ প্রয়োগের মাধ্যমে তাকে অসুস্থ করে ফেলে। তিনি আরো জানান, সে সময়ে তার থেকে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে তার নামে থাকা ঢাকার মিরপুরে ৬ তলা একটি বাড়ি, মিরপুরেই আরেকটা বাড়ির ডেভলাপারদের থেকে পাওয়া ৩ তলা বাড়ি, ইংল্যান্ডে থাকা একটি ফ্ল্যাট, ইংল্যান্ডের ব্যাংকে থাকা দুইজনের যৌথ একাউন্টে থাকা ২০ হাজার পাউন্ড নিজের করে নেয় এবং তাকে নিঃস্ব করে দেয়। সাথে সর্বশেষ গ্রামে নির্মাণ করা ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বাড়িটিও নিজের করার পাঁয়তারা করতে শুরু করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন হাজী সেলিম।
তিনি আরো জাাঁন,২০১৭ সালে সে তাকে রেখে তাদের এলাকার এলাকার ছেলে তাদের বাড়িতে থাকা কাজেল ছেলে ফারুক হোসেনকে (যে তার স্ত্রীর ২০ বছরের ছোট) বিয়ে করে ফেলে। তারপর থেকে হাজী সেলিমের ওপর অত্যাচারের মাত্রা আরো বাড়তে থাকে। ওরা দুজন মিলে তাকে মৃত্যুর দুয়ারে নিয়ে যায়। তিনি বলেন,আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি অলৌকিকভাবে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছি। এখন সে আবার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছে।
সারা জীবন মাথার গাম পায়ে ফেলে কোটি কোটি টাকা আয় করেছি পরিবারকে সুখে রাখতে সে স্ত্রী আজ আমাকে পথে নামিয়ে দিয়েছে। আমি আজ নিঃস্ব। আমি স্ত্রী রুপি এই ডাইনীর উপযুক্ত বিচার চাই দেশ বাসীর কাছে, বাংলাদেশ ও ইংল্যন্ড সরকারের কাছে। আমি আমার কষ্টার্জিত সম্পদ ফিরে পেতে চাই। আর যেনো কোন সুজানারা কোন পুরুষদের এমনভাবে ধ্বংস করে দিতে না পারে।
সংবাদ সম্মেলনে সে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ও হাজী সেলিমের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।