নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে তিন মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে স্থানীয় দলীয় কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে মিছিলটি বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।সময় বিক্ষোভকারীরা বিএনপির (ঢাকা বিভাগীয়) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদকে দেওয়া প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান।বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন: উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আলী আজগর, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্যাহ মিয়া, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ছালাউদ্দিন মোল্লা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মিরজুল হাসান নয়ন মোল্লা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শব্দর আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক আজিজুল হক, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক রূপচান মিয়া এবং উপজেলা মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য পিয়ারা বেগমসহ হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক।
এই আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান আঙ্গুর এবং মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মিরজুল হাসান নয়ন মোল্লা বলেন, ‘দল থেকে নজরুল ইসলাম আজাদকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকে দলীয় নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে এবং এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে এই মনোনয়ন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় এই আসনে বিএনপির ভরাডুবি হবে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি জহির বলেন, ‘দল থেকে নজরুল ইসলাম আজাদকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে; আড়াইহাজারের জনগণ তাকে মেনে নেয়নি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। দলের হাইকমান্ড বলেছেন, এই মনোনয়ন চূড়ান্ত নয়। তাই আমরা দলীয় মনোনয়ন মাহমুদুর রহমান সুমন, আতাউর রহমান আঙ্গুর বা পারভীন আক্তারের মধ্যে যে-কাউকে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ছালাউদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘দলের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, দল থেকে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তার মনোনয়ন বাতিল করতে হবে। দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে মেনে নেয়নি; মেনে নেবে না। দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় তার মনোনয়ন বাতিল প্রয়োজন।’
উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সিরাজ বলেন, ‘যাকে দল থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তার মনোনয়ন বাতিল করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের প্রার্থীকে জয়ী করতে হলে এই আসনে সুমন, আঙ্গুর অথবা পারভীনকে মনোনয়ন দিতে হবে।’