শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ন

মেঘনায় যুবকের ভাসমান মরদেহ, মুক্তিপণের জন্য হত্যা?

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া গ্রামসংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। পরে লাশটির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা গ্রামের নৌচালক আরিফ (২৮) হিসেবে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে বড় রায়পাড়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পসংলগ্ন মেঘনা নদীতে কচুরিপানার সাথে ভাসতে থাকা লাশটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে গজারিয়া নৌ-পুলিশ বিকাল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারকালে দেখা যায়, গলায় রশি বাঁধা, পেটে কোপের চিহ্ন, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের দাগ। ধারণা করা হচ্ছে, মৃত্যু হয়েছে ৪-৫ দিন আগে।

গজারিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরজিৎ কুমার বলেন, খবর পেয়ে এসে আমরা লাশটি উদ্ধার করি। গলায় রশি বাঁধা ও গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

পরে স্বজনরা লাশটি দেখে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেন। নিহত আরিফ (২৮) পেশায় ছিলেন নৌচালক। খাগকান্দা নদীতে নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। বাবা মারা যাওয়ার পর তিন সদস্যের সংসারে তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, তিন দিন আগে খাগকান্দা ঘাট থেকে বৈদ্যেরবাজার ঘাটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রীবেশে কয়েকজন ব্যক্তি তার নৌকায় ওঠে। এরপর থেকেই আরিফ নিখোঁজ ছিলেন। পরে একটি অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে পরিবারের কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। মুক্তিপণ আদায়ের চক্রান্তের পরই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবার ও পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

নিহত আরিফের পরিবার দোষীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ড ও মুক্তিপণ চক্রের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102