পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় ২৮ বছর বয়সী (আনুমানিক) এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনায় এক ট্রাকচালকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতে তাদের আদালতে নেওয়া হয় এবং বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চাদিনা-শিবগঞ্জ দক্ষিণপাড়া এলাকার ট্রাকচালক সোহেল শেখ (৩২) ও ভাগদহ এলাকার বাসিন্দা ও চালকের সহকারী মোস্তফা হানিফ (২১), বগুড়া সদর উপজেলার মানিকচক-উত্তরপাড়া এলাকার মো. হাসান (২০) ও একই উপজেলার নামুজা-ভান্ডারিপাড়া এলাকার রাজিবুল ইসলাম (১৯)।
স্থানীয়রা জানান, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ওই নারী বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ঘোরাফেরা করতেন। তিনি কথা বলতে পারলেও নাম-পরিচয়ের বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এর আগে, বুধবার ভোরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের প্রধান ফটকের বিপরীত দিকের একটি দোকানঘরের পেছনে ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীসহ স্থানীয় লোকজন চারজনকে আটক করে প্রথমে গ্রাম পুলিশ ও পরে তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন।এ ঘটনার পর গতকাল বিকেলে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গ্রাম পুলিশ মো. হাবিবুল্লা বাদী হয়ে ওই চারজনের বিরুদ্ধে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন। পরে সন্ধ্যায় তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় ওই নারীকেও আদালতে নেওয়া হয়।বাংলাবান্ধা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. বুলবুল বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী কথা বলতে পারলেও নিজের নাম-পরিচয় বলতে পারেন না। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে এলাকাটির পথঘাটে বসবাস করতেন। গতকাল গভীর রাতে বন্দরে ট্রাক নিয়ে আসা চালক ও তার সহযোগীরা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।ওই নারীর পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ও পিবিআইয়ের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মুঠোফোনে বলেন, গ্রেপ্তার চার ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।