মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘অপমানজনক’ মন্তব্যকে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক রীতিনীতির চরম লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ট্রাম্পের বক্তব্য জাতিসংঘ সনদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের মৌলিক নীতিকে উপেক্ষা করে এবং মুসলিম বিশ্বের কোটি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত হানে।
ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি ইসরায়েল ও মার্কিন বাহিনীকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা থেকে বিরত রেখেছিলেন। ইরান একে ‘অশোভন ও কুরুচিপূর্ণ’ ভাষা বলে উল্লেখ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি এমন অবমাননাকর ভাষা যুক্তরাষ্ট্রের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে, যা সংলাপ ও সহযোগিতার ওপর আস্থা নষ্ট করে। যুক্তরাষ্ট্রকে তারা আহ্বান জানিয়েছে, যেন উসকানিমূলক বক্তব্য বন্ধ করে এবং শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোয় জবাবদিহি করে। উল্লেখযোগ্য যে, ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যাকে ইরান জাতিসংঘ সনদ ও পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির লঙ্ঘন বলে দাবি করে। এর জবাবে ইরান কাতারের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এরপর দুই দিন পর ট্রাম্প অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেন। ইরান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এসব আচরণ মধ্যপ্রাচ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।