ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান দিয়ে হামলা বিশ্বরাজনীতিতে বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা জোট বার্তা দিয়েছে—ইরানকে পারমাণবিক শক্তিধর হতে দেওয়া হবে না। তবে এই পদক্ষেপের প্রভাব শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই সীমিত নয়; সাড়া ফেলেছে পূর্ব এশিয়ায়ও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়া এই ঘটনাকে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের যৌক্তিকতা হিসেবে তুলে ধরবে। তারা এখন আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হতে পারে যে, শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে পারমাণবিক অস্ত্রই শেষ ভরসা। দক্ষিণ কোরীয় অধ্যাপক লিম ইউল-চুল মন্তব্য করেন, “এই হামলা কিম জং উনের পরমাণু নীতিকে বৈধতা দেবে।”
এদিকে রাশিয়াও পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রুশ চিন্তাবিদ আলেকজান্ডার ডুগিন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইরানে যা করেছে, রাশিয়ায় তা করার থেকেও তাদের কেউ আটকাবে না। আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢুকে পড়েছি।”
বিশ্বজুড়ে প্রতিরোধী শক্তিগুলো এখন আরও বেশি আশঙ্কা ও প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে।