বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার বামনা উপজেলায় জলিল নামের এক মহুরি তার মক্কেলের কাছ থেকে জমির কাগজ আত্নসাৎ করে নিজের নামে ভূয়া জাল দলিল বানিয়ে বর্তমানে সে নিজেকে সেই জমির মালিক দাবী করছেন।
জানা যায় বরগুনার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের জয়নগর গ্ৰামের কালাম আকন ও মজিবুর রহমানের সাথে দীর্ঘদিন জমি জমা নিয়ে বিরোধ ও মামলা চলে আসছিলো। পরে সেই মামলার বাদী ও বিবাদী উভয়ই সমঝোতায় আসে। কালাম আকনের মামলার মহুরি জলিল হাওলাদার। তার কাছে বিশ্বাস করে ৪ একর ৫৬ শতাংশ জমির কাগজ রাখা হয়। পরে সে বিশ্বাসঘাতকতা করে নিজের নামে ভূয়া জাল দলিল ও ডিগ্রী বানায়। এবং বর্তমানে সে এই জমির মালিক দাবী করেন।
বামনার জয়নগর মৌজায় জে এল নং ২১ এস এ ১২২,১২৩,১২৪ হাল দাগ ৯৩, ২৩১,২৩২,২৩৬, ২৩৮ ও ২৩৯ মোট ৪,৫৬ (চার একর ছাপ্পান্ন) শতাংশ জমি।
এই জমির মালিক মুহাম্মদ সালেহ ইকবল পিতা মৃত মাওলানা ইয়াকুব।
মহুরি জলিল বামনা সহকারী জজ আদালতে দেং ২২/২০০২ মোকাদ্দমায় জমি আত্নসাৎ করে জাল জালিয়াতি নিলাম ও ডিগ্রী বানিয়ে বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষকে উচ্ছেদ করার জন্যে দেওয়ানী ও ফৌজদারি বিভিন্ন ধরনের মামলা তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করেন এবং নিজেই এই জমির মালিকানা দাবি করেন।
এ যেন শিয়ালের কাছে মুরগি পাহারা দেয়ার মতোন এক বিরল ঘটনা।
ভুক্তভোগী মজিবুর ও তাদের ওয়ারিশগন এই জমি ফিরে পাবার জন্যে প্রশাসনের একান্ত সহযোগিতা কামনা করেন।
এবিষয়ে স্থানীয় ছগির হোসেন (৫২), ইস্কান্দার খলিফা(৬০), মোসলেম হাং(৬২),রেনু বেগম(৪৫),নাজমা বেগম (৩৫), রুস্তম আলী (৬০) জানান, মহুরি জলিল একজন টাউট এবং বাটপার প্রকৃতির লোক। সে আমানতের ঘরে খেয়ানত করেছে।
কালাম এবং মুজিবর হোসেন তারা উভয়পক্ষের বাদী-বিবাদী ছিল । কালামের মামলার মহুরি ছিলেন জলিল। তার মাধ্যমে এই মামলা পরিচালনা করা হয়। কিন্তু সে নিজেই নিজের নামে জাল জালিয়াতি দলিল ও ভূয়া ডিগ্রী করে তার নামে জমি লিখিয়ে নেয়।
তারা আরও বলেন, আমাদের জানা মতে এই জমির প্রকৃত মালিক মুজিবর। জলিল মহুরি একটি ভুয়া জাল দলিল বানিয়ে এখন জমির মালিকানা দাবি করেন। দীর্ঘদিন এই জলিল মহুরি জয়নগর এলাকার অনেক নিরীহ মানুষকে ভূয়া মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে এবং অনেকের জমিতে ভূয়া দলিল বানিয়ে সেই জমির মালিক দাবী করছে।
তাছাড়া ভূয়া স্বিল বানিয়ে অন্যের ভূয়া স্বই স্বাক্ষর করে জাল দলিল বানায়।পাকিস্তান প্রিয়ডের অনেক স্টাম স্বীল ও নিজের হাতের নকলখানার স্বীলও তার কাছে বর্তমানে রয়েছে।
আমরা এলাকাবাসী এই ভূমিদস্যু ও চিটার জলিল মহুরির বিচার চাই। কারণ একজন মহুরি যদি এভাবে কাজ করে তাহলে মানুষ আইনের আশ্রয় নেওয়া থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবে।
এব্যাপারে মহুরি জলিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি এসব বিষয়ে এড়িয়ে জান এবং পরে সে আত্নগোপন করেন।
এই জমির প্রকৃত মালিক মজিবুল হক খাঁন ও সালেহ ইকবাল বরগুনা জেলা সাংবাদিকদের কাছে এক লিখিত অভিযোগ দিয়ে বলেন, এই জমির মূল মালিক থাকা সও্বেও জলিল মহুরি ভূয়া জাল দলিল করে মালিক দাবী করেন। আমরা এই ভূমিদস্যু মহুরি জলিলের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদান্ত সাপেক্ষে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে এর কঠিন বিচারের দাবী করছি।
এএসবিডি/আরএইচএস