সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ময়মনসিংহে পাচারের সময় মানব কঙ্কাল উদ্ধার, গ্রেপ্তার- ২। কোকোর স্মৃতিতে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। বাগেরহাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লটারি পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নাম পরিবর্তন। কালিহাতীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ট্রাকসহ ৬ ডাকাত গ্রেফতার। বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষক প্রয়োজনঃ ড. আবুল কাশেম। বাংলাদেশি রোগী পেতে সীমান্তে মেট্রো চালু করবে ভারত। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ৪ স্পটে দুর্ঘটনার কবলে ১০ গাড়ি, নিহত ১, আহত ১৫। নরসিংদীতে ছাত্রদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ।

খাগড়াছড়িতে থামছেইনা পাহাড় খেকোদের দৌরাত্য, থানার পাশেই নিখোজ পাহাড়।

আব্দুর রহিম, খাগড়াছড়ি।
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
খাগড়াছড়িতে থামছেইনা পাহাড় খেকোদের দৌরাত্য, থানার পাশেই নিখোজ পাহাড়।
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা ও রামগড় উপজেলায় প্রকাশ্যে চলছে পাহাড় কাটা।
প্রতি বর্ষায় ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসের অন্যতম কারণ অবাধে পাহাড় কাটা। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিনে ও রাতে অবাদে রীতিমতো পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা প্রশাসনের কোনো প্রকার ছাড়পত্র ছাড়াই পাহাড় কাটা চলছে। এতে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।
খাগড়াছড়ি জেলা গুইমারা ও রামগড় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নানান অজুহাতে পাহাড় কাটছে একটি চক্র। রাতে এবং দিনে স্কাভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে তা ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে অন্যত্র। আর এসব মাটি বিক্রয় করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচু নিচে জায়গা ভরাট এর কাজে। যা প্রতি ট্রাক বাবদ ১ হাজার ৫শত টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়ে থাকে। তবে পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসন কোনো ইতিবাচক কার্যকারী উদ্যোগ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ কর্মীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা থানার পাশে, সিন্দুকছড়ি, হাতিমুড়া, মাহবুব নগর ও লুন্দুক্যাপাড়াসহ জালিয়াপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন পাহাড়টি অবাধে দিনে রাতে পাহাড় কেটে নিচ্ছে একটি চক্র। জালিয়াপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন পাহাড়টি পরিদর্শন করতে গেলে দেখা যায়, চার পাশ দিয়ে পাহাড় কাটার চিত্র না দেখার জন্য জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রশাসন দেখতে যেতে না পারে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, পাহাড়টি মূলত জালিয়াপাড়া এলাকার কেফায়েত উল্লাহ নামক এক ব্যক্তির। তার মদদেই কাটা হয়েছে পাহাড়টি। পরে মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করলে পাহাড় কাটার সত্যতা স্বীকার করেন তিনি।
প্রশাসনের যোগসাজসে এসব পাহাড় কাটতে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় কিছু স্কাভেটর এর মালিকরা। তারা হলেন, গুইমারা রাজন, শুক্কুর আলী, জালিয়াপাড়ার রফিকসহ আরো বেশ কয়েকজন। এরা নিজেদের স্বার্থের জন্য পরিবেশকে বিপর্যয়ের মূখে ফেলছে দিনের পর দিন। এলাকার প্রায় সকল ছোট বড় পাহাড় কেটে নিজেদের স¦র্গরাজ্য তৈরিতে মেতে উঠেছে এই মহলটি।
পাহাড় কাটার বিষয় রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অনুমতি বিহীন পাহাড় কাটা দন্ডনীয় অপরাধ। অবৈধ ভাবে যেই পাহাড় কাটুক তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কয়েকটি অনুমদিত বালুর মহাল ছাড়া কোনো অবৈধ বালু কিংবা পাহাড় কাটার বিষয় জানা নেই তবে এই রকম পাহাড় কাটার সংবাদ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সচেতন মহলের দাবী, অবাদে পাহাড় কাটার কারণে প্রতিবছর ভাড়ি বর্ষণে সময় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। যার ফলে ব্যাপক প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। তাই যারা অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।
আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102