বিশ্বজুড়ে নারীর সৌন্দর্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলে আসছে। কবি-সাহিত্যিকরা যুগের পর যুগ ধরে নারীর সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন সাহিত্যের পাতায়। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ও জনপ্রিয় মতামতের ভিত্তিতে কয়েকটি দেশের নারীরা তাদের সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সেই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইউক্রেন।
ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ইউক্রেন ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। কৃষি উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যেও ইউক্রেন। বর্তমানে কৃষিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দেশটি। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে দেশটির গ্রামীণ জনগোষ্ঠী কৃষিকাজে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করছে।
দেশটির প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করে। এর পূর্বে রাশিয়া, উত্তরে বেলারুশ, পশ্চিমে পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়া, দক্ষিণ-পশ্চিমে রোমানিয়া ও মলদোভা এবং দক্ষিণে কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগর অবস্থিত।
রাজধানী কিয়েভ দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। বিমান উৎপাদন শিল্পেও ইউক্রেন বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমান এখানেই নির্মিত হয়েছে। দেশটির অধিকাংশ জনগোষ্ঠী খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী এবং ইউক্রেনীয় ভাষায় কথা বলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেনের নারীরা তাদের সৌন্দর্য, বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাব এবং আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্বের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। তারা স্বাধীনচেতা, আধুনিক মানসিকতার অধিকারী এবং নিজেদের জীবনযাপন নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করতে অভ্যস্ত। আবেগপ্রবণ হলেও স্বভাবগত দিক থেকে তারা শান্ত ও স্মার্ট হিসেবে পরিচিত।
আবহাওয়ার দিক থেকে ইউক্রেন একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। উত্তরে গড় তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৫ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দক্ষিণে ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি। গ্রীষ্মকাল তুলনামূলক মৃদু, যেখানে তাপমাত্রা ১৭ থেকে ২৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। তবে শীতকালে তীব্র ঠান্ডা ও ভারী তুষারপাত দেখা যায়।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, উন্নত জীবনমান এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সমন্বয় ইউক্রেনকে শুধু একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবেই নয়, বিশ্বের সুন্দরী নারীদের অন্যতম আবাসভূমি হিসেবেও পরিচিত করেছে।