বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে আনা কয়েকটি বিষয় অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে শুনানি চলছে। আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন ড. শরীফ ভূঁইয়া।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কিছু ধারা অবৈধ ঘোষণা করে। একই রায়ে সংবিধানে গণভোটের বিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। তবে পুরো সংশোধনী বাতিল করা হয়নি। হাইকোর্ট রায়ে উল্লেখ করে, গণতন্ত্র সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ এবং এটি অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে বিকশিত হয়।
হাইকোর্টের রায়ে ৭ক, ৭খ ও ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছে। ৭ক ধারা সংবিধান বাতিল বা স্থগিতকরণের বিষয়, ৭খ সংবিধানের মৌলিক বিধান পরিবর্তন অযোগ্য করার বিষয় এবং ৪৪ (২) ধারা মৌলিক অধিকার প্রয়োগ সম্পর্কিত। এ ছাড়া সংবিধানের ২০ ও ২১ অনুচ্ছেদও অসঙ্গত হিসেবে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।রিটকারী প্রতিষ্ঠান সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে ড. শরীফ ভূঁইয়া এ আপিল দায়ের করেন। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইনসানিয়াত বিপ্লব ও অন্যান্য আবেদনকারীরা শুনানিতে অংশ নেন।
২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করা হয়। সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়, নারীদের সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৫০ করা হয় এবং সংবিধানে আরও কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়।
আজকের আপিলে পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরোটা বাতিল চাওয়ার দাবি তুলেছে আবেদকরা। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি শোনার পরে আদালত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।