জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার অথৈর (২১) আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে ইয়াসিন মজুমদার (২৩) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সূত্রাপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মেয়ের বাবা প্রণব মজুমদার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, স্কুলজীবন থেকে ইয়াসিন ও অথৈর পরিচয় ছিল। অথৈ ঢাকা আসার পর ইয়াসিনও তাকে অনুসরণ করে ঢাকায় চলে আসে এবং লালবাগ থানার ধারা এলাকায় ‘জমিদারী ভোজ’ নামক একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের চাকরি নেয়। এরপর থেকে সে অথৈকে উত্যক্ত করত এবং পরবর্তীতে কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রেমের সম্পর্কের আড়ালে ইয়াসিন নিয়মিত অপমানজনক কথা, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অথৈকে মানসিকভাবে নির্যাতন করত।
গত ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় সংগীত উৎসবের অনুশীলন শেষে ফেরার পথে ইয়াসিন অথৈকে গালাগাল করে এবং উৎসবে অংশ না নেয়ার জন্য চাপ দেন। এরপর অথৈ তার মেসে ফিরে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যাশার মরদেহ প্রথম দেখতে পান মেসের মালিকের স্ত্রী মোসা. জোৎস্না বেগম। ইয়াসিন ও অন্যান্যরা তাকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অথৈর বাবা প্রণব মজুমদার বলেন, আমার ধারণা, বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সহপাঠীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ছুটে এসেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, মেয়ের বাবার করা মামলার ভিত্তিতে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।