দখলবাজি-চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা থেকে উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির বহিষ্কৃত সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হুদা মিঠুকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। সোমবার তাকে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানায় সোপর্দ করা হয়।
রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নামজুল হাসান। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে, তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
এর আগেও বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ করা হয় তার নামে সেখানে বলা হয়, দখলবাজি-চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হুদা মিঠুকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। এরপরও থামেনি চাঁদাবাজি। দলীয় পদ-পদবি না থাকলেও বিএনপি নেতা পরিচয়ে মিঠু চাঁদা দাবি করছেন বলে জানিয়েছেন উত্তরা-পশ্চিম থানা এলাকার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
উত্তরার রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির দুজন নেতা জানিয়েছেন, ব্যবসায়ী সমিতির বর্তমান কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করতে চাচ্ছেন আজমল হুদা মিঠু। মূলত সমিতি দখলের জন্য এটি করতে চাচ্ছেন। এজন্য মিঠু নির্বাচিত কমিটির নেতাদের পদত্যাগ করতে চাপ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে সমিতির কয়েকজন নেতা পদত্যাগ করেছেন, বাকিদের পদত্যাগে নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। প্রায় দুই হাজার দোকানদার থেকে মোটা অংকের চাঁদা তুলতেই উত্তরার রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স সমিতির স্বঘোষিত সভাপতি হতে চান। তাকে সভাপতি বানাতে পেছন থেকে সহায়তা করছেন বিএনপি নেতা এস এম জাহাঙ্গীর। ইতিমধ্যে তার অনুসারী কুতুবউদ্দিনকে দিয়ে সাইদ গ্র্যান্ড মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি ও হেলাল তালুকদারকে দিয়ে রাজলক্ষ্মী সুপার মার্কেটের কমিটি গঠন করেছেন। তার ধারাবাহিকতায় রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির কমিটি গঠন করতে চাচ্ছেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সই করা চিঠিতে মিঠুকে বহিষ্কার করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপনাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো।