নারী সাফের ফাইনালে কাঠমুন্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ও স্বাগতিক নেপাল।
আক্রমণ প্রতি আক্রমণে ভরা খেলার প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও খেলায় ছিল টানটান উত্তেজনা। আর সেই আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের ফল দুই দল পেয়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই।
প্রথমে মনিকার গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। এরপর দ্রুত সমতা ফেরায় নেপাল। দুই গোলের পর বেড়ে যায় গ্যালারির উত্তাপও। যার প্রভাব দেখা যায় ম্যাচেও। ৬৬ মিনিটে সুযোগ হাতছাড়া করে নেপাল।
৬৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ এক শট নেন মারিয়া মান্দা। তাঁর সেই শট আরও দুর্দান্ত দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন নেপালের গোলরক্ষক আঞ্জিলা। অল্পের জন্য গোল পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। এরপর কর্নার থেকেও সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। ৭১ মিনিটে প্রতি–আক্রমণে কাছাকাছি গিয়েও গোল পায়নি নেপাল।
শেষপর্যন্ত ৮০ মিনিটে বাংলাদেশকে আবারও এগিয়ে দেন ঋতুপর্ণা। বাঁ প্রান্ত থেকে দারুণ এক শটে নেপালি গোলরক্ষককে পরাস্ত করেছেন তিনি।
এরপর বাকি সময় দুই দল অনেক চেষ্টা করলেও গোলের দেখা পায়নি কেউ। ফলে ঋতুপর্ণার ওই গোলটি হয়ে যায় শিরোপা নির্ধারণী গোল। আর বাংলাদেশের হাতে উঠে টানা দ্বিতীয় শিরোপা।
এর আগে ২০২২ সালে একই মাঠে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার দক্ষিণ এশিয়ার সেরার খেতাব জিতেছিলেন সাবিনা খাতুনরা।