বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি হত্যা মামলায় একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার কামালের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ি থানার উপপরিদর্শক মাহাবুল ইসলাম তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট শ্রী প্রাণ নাথ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন।
আদালতে শাহরিয়ার কবির বলেন, আমি এর আগে রিমান্ডে গিয়েছি। হুইলচেয়ার ছাড়া হাঁটতে পারি না। আমার পায়ে সমস্যা রয়েছে। মামলা বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চায় না। তবে সঠিকভাবে আমার চিকিৎসার প্রয়োজন। গত ৪ মাস ধরে আমি অসুস্থ। আমি এখনো চিকিৎসার জন্য কারা হাসপাতালে রয়েছি। কাশিমপুর কারাগারে আমার ট্রিটমেন্ট হচ্ছে না৷ আমি সর্দি, কাশি, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত। আমার ভালো ট্রিটমেন্টের জন্য একটু পুলিশ সুপারকে বলে দিতেন, তাহলে ভালো হতো। যদিও আইনজীবী এই বিষয়ে বলেছেন।
এসময় এক বিএনপিপন্থি আইনজীবী চিৎকার করে বলেন, অনেক বলেছেন, আর না। থামেন এবার থামেন।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, যখন বাহিরে কোনো মিছিলে তাকে দেখি, তখন তিনি সুস্থ থাকেন। আদালতে আসলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এগুলো সব টালবাহানা। এসময় শাহরিয়ার কবির রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গত চার মাস আমাকে বাহিরে কোথায় দেখেছেন। কোনো ছবি/ভিডিও দেখাতে পারবেন। তখন এই প্রশ্নে জবাব দেয়নি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
বিচারক দুই পক্ষের শুনানি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২ টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর বাসা থেকে শাহরিয়ার কবিরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ছাত্র আন্দোলনের সময় কাজের মেয়ে লিজা আক্তার হত্যার অভিযোগে রমনা মডেল থানার মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।