ঝালকাঠিতে সাংবাদিক আক্কাস সিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস সিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে চাঁদাবাজ আখ্যায়ীত করাসহ নাম বিকৃত অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বিএসএস’র ঝালকাঠি প্রতিনিধি বিরুদ্ধে।
বহু দিন ধরে জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্মসম্পাদক সাংবাদিক আক্কাস সিকদার আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে অপপ্রচার চালিয়ে আমির হোসেন আমু এমপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে আসছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমান আ’লীগের কিছু নেতার ছত্রছায়ায় ও আশ্রয়ে এসব অপকর্ম করে আসলেও এবার কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রকাশ্যে চাঁদাবাজ ও ব্যাঙ্গকারী আক্কাসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য ঝালকাঠি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি-সম্পাদকের নিকট লিখিত আবেদন জানিয়েছে।
শহরের পশ্চিম চাঁদকাঠীর বাসিন্ধা আওয়ামীলীগকর্মী রজক কান্তি দাসের পুত্র সমীর চন্দ্র দাস লিখিত এ অভিযোগের অনুলিপি ঝালকাঠির অভিভাবক আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ বিভিন্ন মহলে প্রদান করেছে বলে জানাগেছে।
অন্যদিকে এ বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও তার অংগ-সহযোগী সংগঠনের উদীয়মান ও নিবেদিতপ্রান নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দানা বেধে উঠেছে বলে দলীয় সূত্রে জানাগেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, এবারের ইদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা মনকা নেয়ামুল বাসারের লেখা ফেসবুক পোষ্টে বিএসএস ঝালকাঠি প্রতিনিধি আক্কাস সিকদার দুই মন্ত্রীকে চাঁদাবাজ ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ওকা উল্লেখ করে হীনমানষিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
ফেসবুক পোষ্টে সে মন্তব্য করেছেন‘স্বাধীন বাংলায় কারো কিছু করার আছে ? চাঁদা নেবে ১৯ জায়গায় নয় ২০ জায়গায়। সেতুমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চাঁদাবাজী স্বীকৃত একটা পেশা। এ পেশায় ২০ হাজার লোক কাজ করে।’
লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে, সাংবাদিকতা ও আইনজীবী পেশার আড়াঁলে বিএসএস ঝালকাঠি প্রতিনিধি আক্কাসের আওয়ামীলীগ ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপকর্ম নতুন নয় বরং এর আগে এমপি আমু, জেলা আ’লীগ সভাপতি-সম্পাদক-সাংগঠনিক সম্পাদক, আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে সে বহু অপপ্রচার করে আসছে।
বিগত সংসদ নির্বাচনকে বিতর্কীত করার জন্য বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমরকে সাথে নিয়ে ১০ লাখ টাকার বানিজ্যে নেমে আক্কাস সিকদার শেখ হাসিনা সরকার ও আ’লীগের বিরুদ্ধেগভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরে তৎকালীন জেলা প্রশাসককে অবহিত করলে তার সাংবাদিক কার্ড আটকে দিলে তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়।
এছাড়া আক্কাস সিকদারের বিরুদ্ধে পুলিশ র্যবি, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার-মামলা দায়েরসহ মিথ্যা তথ্যপ্রচার করে আসছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা,বোমা বিষ্ফোরন মামলার এজাহার হয়েছে ও এখনোও একাধিক মামলা বিচারাধীনসহ পিবিআই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার চার্জশীট দাখিল করেছে।
কিশোর বয়স থেকে কয়েক দফায় জেলাহাজতে বাস করা এ ষড়যন্ত্রকারী সাংবাদিকতা পেশাকে কুলশিত করার পাশাপাশি দুই পক্ষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাত করে আইনপেশাকেও কলঙ্কিত করছে।
অন্যদিকে এ অভিযোগ জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ঝালকাঠি জেলার পরিচালক বারাবরেও জমা হয়েছে বলে নির্ভযোগ্যসূত্রে জানাগেছে। তিনি বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রদানের সদর ফিল্ড অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানাগেছে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক এড.খান সাইফুল্লাহ পনিরের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তার কাছে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
উল্লেখ্য সাইবার ক্রাইমার বহু অপকর্মের হোতা বিএসএস ঝালকাঠি প্রতিনিধি আক্কাস সিকদার ও তার এক সহযোগীকে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্থানীয় এক সাংবাদিকের দায়েরকৃত মামলা তদন্ত পূর্বক দোষী সাব্যস্থ করে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন) তথ্যপ্রযুক্তি আইনের দ:বি: ২৫, ২৯ ও ৩৫ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
অপরদিকে উক্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন সাংবাদিক আক্কাস সিকদার।