ঢাকার মোহাম্মদপুরে ছুরিকাঘাতে মা লায়লা আফরোজ ও মেয়ে নাফিজা হত্যার ঘটনায় পুলিশ এক তরুণীকে সন্দেহ করছে। আয়েশা নামের ওই তরুণী মাত্র চারদিন আগে অস্থায়ী গৃহকর্মী হিসেবে তাদের বাসায় কাজ নিয়েছিলেন।
সোমবার (৮ ডিসম্বর) সকালে কাজে এসেছিলেন বোরকা পরে, দেড় ঘণ্টা বাদে বেরিয়ে যান স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার সকাল ৭টা ৫২ মিনিট, বাসায় প্রবেশ করছেন গৃহকর্মী আয়েশা, গায়ে ছিল কালো বোরকা। এরপর বের হোন ৯টা ৩৬ মিনিটে, তখন তার গায়ে দেখা যায় স্কুল ড্রেস। গৃহকর্মী আয়েশা ভাড়া থাকতেন বিহারী ক্যাম্পে। মা ও মেয়ের পরিবারের কাছে তার সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি কোনো তথ্য নেই।
নাফিজার বাবা এ জেড আজিজুল ইসলাম উত্তরার সানবিমস স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক। স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে ওই বাসায় প্রায় ১৩ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি নাটোরে।প্রতিদিনের মতো সোমবার আজিজুল সকাল ৭টার দিকে স্কুলের উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। স্কুলে পরীক্ষা চলমান থাকায় বাসায় ফেরেন তাড়াতাড়ি। ১১টার পরে বাসায় এসে প্রথমে মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান তিনি। পরে রান্নাঘরে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন তার স্ত্রী।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। চান সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার।পুলিশ আসার আগেই নাফিজাকে নেয়া হয় হাসপাতালে, সেখানেই মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। পরে মা লায়লা আফরোজের মরদেহ নিয়ে যায় পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের আইনের আওতায় নেয়া হবে। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। মা-মেয়ের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে নেয়া হয়েছে।