সাম্প্রতিক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার প্রতি সহায়তা, সংহতি ও মানবিক সমর্থন প্রদানের জন্য বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ড. হরিণী অমরাসুরিয়া।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টেলিফোনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলে তিনি এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর ফোন আসে। আলাপের শুরুতেই তিনি জানান, সাম্প্রতিক দুর্যোগে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবল বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া ও আকস্মিক বন্যায় শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং হাজারো পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। দেশের বহু সড়ক, সেতু, কৃষিজমি ও জনপথ ধ্বংস হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সহায়তার ঘোষণা শ্রীলঙ্কার জনগণ গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে।অমরাসুরিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের সহমর্মিতা আমাদের কঠিন সময়ে অসীম শক্তি দিয়েছে। আপনাদের এই উদ্যোগ শ্রীলঙ্কার মানুষের কাছে মানবিকতার প্রতীক।’
এর জবাবে প্রধান উপদেষ্টা শ্রীলঙ্কার জনগণের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সংকট আমাদেরকেও ব্যথিত করে। যা-কিছু প্রয়োজন, পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা বাংলাদেশ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ অতিরিক্ত জরুরি উদ্ধার সামগ্রী, চিকিৎসা সহায়তা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে প্রস্তুত আছে।’
ফোনালাপে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সরকার এখনো ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব করছে এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা আহ্বান করছে। তিনি বাংলাদেশ সরকারের দ্রুত সাড়া ও মানবিক সহযোগিতাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।’
টেলিফোনালাপের এক পর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে আগামী মাসগুলোতে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, দুই দেশের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও উন্নয়ন কার্যক্রম ভাগাভাগি করলে আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
ফোনালাপের সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে দু’নেতার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক হয়েছিল।