শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন

বিডিআর বিদ্রোহ মামলা থেকে মুক্তি পেলেন ৩৫ জন

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিডিআরের সাবেক ৩৫ সদস্য।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে তারা পর্যায়ক্রমে কারাগার থেকে বের হন। এ সময় কারাফটকের সামনে তাদের আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৫৩ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছিল।মুক্তিপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১ জন, কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে ২ জন এবং পার্ট-২ থেকে ৩২ জন রয়েছেন।কারাগার সূত্রে জানা যায়, জামিনের কাগজপত্র আজ দুপুরে কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে সন্ধ্যায় তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়।কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আল মামুন বলেন, ‘দুপুরে বন্দি ১ জন সাবেক বিডিআর সদস্যের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। পরে যাচাই-বাছাই শেষে তাকে সন্ধ্যায় মুক্তি দেওয়া হয়।’

কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে ২ জন সাবেক বিডিআর সদস্যকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার আবু নূর মো. রেজা। পার্ট-২ থেকে ৩২ জন সাবেক বিডিআর সদস্যকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিনিয়র জেল সুপার মো. আল মামুন। তিনি বলেন, ‘দুপুরে বন্দি ৩২ জন সাবেক বিডিআর সদস্যের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। পরে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের সন্ধ্যায় মুক্তি দেওয়া হয়।’সাবেক বিডিআর সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনের বড় বোন কামরুন্নাহার বলেন, ‘একসময় ভাবতাম আদৌও ভাইকে পাব কি না। আজকে সামনা-সামনি ভাইকে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। এর পিছনে যারা কাজ করছে ও সহযোগিতা করছে, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইয়ের চিন্তায় বাবা মারা গেছেন। মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এখন মা’র বুকে ছোট ভাইকে তুলে দিতে পারলে কিছুটা স্বস্তি পাব। ভেতরে যারা রয়েছেন তাদেরও যেন মুক্তি মিলতে পারে।’উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। এতে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।বিদ্রোহের ঘটনায় পরদিন ও ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি পৃথক মামলা করা হয়। হত্যার ঘটনায় ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে বিবেচিত। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। খালাস পান ২৭৮ জন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102