পাকিস্তান সরকারকে কড়া ভাষায় বার্তা দিলেন দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুহেল আফ্রিদি। তার দাবি, সরকার এই রাজ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের বানানো নিরাপত্তাহীনতাকে ইন্ধন দিচ্ছে। সোমবার (১৬ নভেম্বর) টোলো নিউজের অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, সরকার দ্বারা ‘খাইবার পাখতুনখোয়া পিস জিরগা’তে উপস্থিত পশতুন তাহফুজ মুভমেন্ট (পিটিএম)- এর সদস্যদের অপহরণ করে শান্তির উদ্যোগ ও আফগানিস্তানের সঙ্গে নতুন করে শুরু হওয়া সংলাপ ব্যাহত করার একটি প্রচেষ্টা।
তিনি উল্লেখ করেন, গত ৭১ বছর ধরে পাকিস্তানে যে দৃষ্টিভঙ্গি ও রাষ্ট্রীয় নীতি আধিপত্য করেছে, তা কখনোই খাইবার পাখতুনখোয়ার পরিস্থিতিকে সত্যিকারের অগ্রাধিকার দেয়নি। প্রদেশটির এই নেতা অভিযোগ করেছেন, আমাদের অতিথিদের অপহরণের ঘটনাই স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করেছে এখানে যে সন্ত্রাসবাদ দেখা যায়, তা স্বতঃস্ফূর্ত নয়—বরং অনেকটাই সাজানো এবং নির্দিষ্ট মহলের স্বার্থে পরিচালিত।পশতুন অঞ্চলে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর অভিযানেরও সমালোচনা করেছেন আফ্রিদি। তিনি দাবি করেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অজুহাতে সেনাবাহিনী নিরীহ বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু করছে এবং এবং যুদ্ধাপরাধের মতো কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে।তার ভাষ্যমতে, মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের গোপন সিদ্ধান্ত এবং উপজাতীয় এলাকায় চাপিয়ে দেওয়া নীতিতে বিরক্ত হয়ে পড়েছে। এসব চাপিয়ে দেওয়া পদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অঙ্গীকার করেন তিনি। তিনি ঘোষণা করেন, খাইবার পাখতুনখোয়ার মানুষ বানোয়াট এই সন্ত্রাসবাদ ও বহু বছর ধরে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া গোপন সিদ্ধান্তে ক্লান্ত।আফ্রিদি বলেছেন, আজ আমি স্পষ্টভাবে বলছি— আমাদের নেতা, আমার পথপ্রদর্শক ইমরান খান (সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী) যার অটল অবস্থান আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে; তিনি কখনো আপনাদের কাছে মাথানত করেননি, আমিও করব না। আমি জনগণের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে চাই। দেশটির ঘরের মধ্যে এমন সমালোচনা উঠেছে যখন প্রতিবেশী রাষ্ট্র আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক এখন অনেকটা তলানিতে। আফগানিস্তান বলেছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করার চেষ্টা করছে।