বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ঘরের মাঠে চিলিকে আতিথ্য দিয়েছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। মারাকানা স্টেডিয়ামে চিলিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আনচেলত্তির দল। এই জয়ে কনমেবল অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠলো ব্রাজিল। যদিও বিশ্বকাপে খেলা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে সেলেসাওদের।
নেইমার-ভিনিসিউস ছাড়াই ঘরের মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে ব্রাজিল তাদের আধিপত্য বজায় রেখেছে। ম্যাচে কোনো প্রকার পাত্তাই পায়নি চিলি। ম্যাচের ৩৮তম মিনিটেই উদীয়মান তারকা এস্তেভাওয়ের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। তার অসাধারণ ফিনিশিং দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেয়। দ্বিতীয়ার্ধে ৭২তম মিনিটে লুকাস পাকেটার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়, যা চিলির ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। এই গোলের ফলে ব্রাজিলের জয় প্রায় নিশ্চিত।
ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রাজিল বলের নিয়ন্ত্রণে আধিপত্য দেখায় এবং একের পর এক আক্রমণে চিলির রক্ষণভাগকে চাপে রাখে। এই চাপের ফলস্বরূপ, ৩৮ মিনিটে এস্তেভাওয়ের গোলে এগিয়ে যায় সেলেসাওরা। চিলি অবশ্য গোল হজম করার পর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও ব্রাজিলের সুসংগঠিত রক্ষণভাগ তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে।
ম্যাচের পরিসংখ্যান ব্রাজিলের একক আধিপত্যের প্রমাণ। ম্যাচে ৬৫ শতাংশ বল দখলের পাশাপাশি ব্রাজিল ২২ টি শট নিয়েছে, যার মধ্যে ৫টি ছিল অন-টার্গেট।
অন্যদিকে, চিলি মাত্র ৩টি শট নিতে সক্ষম হয়েছে এবং তার একটিও অন-টার্গেট ছিল না। বল দখলের লড়াইয়েও ব্রাজিল অনেক এগিয়ে, তাদের দখলে ৬৪% বল ছিল। ব্রাজিল ৪৭০টি পাস খেলেছে, যার ৮৯% নির্ভুল ছিল, যেখানে চিলি ২৭৭টি পাসের মধ্যে ৮০% নির্ভুল পাস দিতে সক্ষম হয়।
ফাউলের সংখ্যায় উভয় দলই কাছাকাছি ছিল; ব্রাজিল ১২টি এবং চিলি ১১টি ফাউল করে। উভয় দলই একটি করে হলুদ কার্ড দেখে। অফসাইডের ক্ষেত্রে চিলি এগিয়ে ছিল, তারা ৫টি অফসাইড করে যেখানে ব্রাজিল করে ২টি। কর্নার থেকে আক্রমণে যাওয়ার সুযোগও ব্রাজিলের বেশি ছিল, তারা ৩টি কর্নার পায় যেখানে চিলি পায় ১টি।
ব্রাজিলের দলে ডাক পাননি ভিনিসিউস জুনিয়র ও নেইমার। তবে ব্রাজিলের এই দলটা বেশ তরুণ। ইউরোপের বড় বড় ক্লাবে খেলা ব্রাজিলের এই ফুটবলাররা দারুণ খেলে দেখিয়ে দিয়েছে, তারাও গুরুদায়িত্ব সামলাতে পারে। আগামী বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচটি খেলতে মাঠে নামবে ব্রাজিল।
তবে যদি এই ফলাফল ধরে রাখতে পারে, তাহলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিলের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে এবং দলের এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে ভক্তদের মধ্যে বিশ্বকাপ নিয়ে নতুন করে আশার সঞ্চার করবে।