চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সা-বায়ার্ন মহারণে জয় কাতালানদের। এ জয়ে বায়ার্নের বিপক্ষে সর্বশেষ ছয় ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেল বার্সা। রাফিনিয়ার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে জার্মান জায়ান্টদের উড়িয়ে দিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
নিজেদের মাঠ অলিম্পিক লুই কম্পানিসে বুধবার রাতে বায়ার্নের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটি ৪-১ গোলে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা।
বাভারিয়ানদের বিপক্ষে বার্সার সবশেষ জয়টি এসেছিল ২০১৫ সালের মে মাসে। ২০১৪-১৫ চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মেসি ও নেইমারের গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল তারা।
হ্যাটট্রিক করে বার্সেলোনার জয়ের নায়ক রাফিনিয়া। প্রথম মিনিটে গোল করে বার্সাকে লিড এনে দেওয়া এই উইঙ্গার ৪৫ মিনিটে করেছিলেন নিজের দ্বিতীয় গোলটা, হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ৫৬ মিনিটে।
প্রথম মিনিটে পিছিয়ে পড়া বায়ার্নকে ১৮ মিনিটে সমতায় ফেরান হ্যারি কেইন। এর আগে সপ্তম মিনিটেও বার্সেলোনার জালে বল পাঠিয়েছিলেন কেইন। তবে ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
রক্ষণের ভুলে ৩৬তম মিনিটে আবার দ্বিতীয় গোল হজম করে বায়ার্ন।
লামিন ইয়ামালের ক্রস হেডে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় পারেননি ডিফেন্ডার কিম মিন-জায়ে। তার পেছনেই থাকা ফের্মিন বক্সে ঢুকে নয়ার এগিয়ে আসায় ফ্লিক করে বল দেন অন্য পাশে। গোল করেন লেভানডভস্কি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি তার ৯৭ তম গোল। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-১ করেন রাফিনিয়া।
প্রথমার্ধে দুই গোল করা রাফিনিয়া দ্বিতীয়ার্ধে পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। ৫৬তম মিনিটে ইয়ামালের ক্রস বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই উইঙ্গার। চার গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ভিনসেন্ট কোম্পানি বেঞ্চ থেকে জামাল মুসিয়ালা, কিংসলে কোমান, লেরয় সানে এবং লিওন গোরেৎস্কাকে নামিয়েছেন। কিন্তু তারাও ব্যবধান কমাতে পারেননি।
চ্যাম্পিয়নস লিগে তিন ম্যাচ খেলে এটি বার্সার দ্বিতীয় জয়। মোনাকোর বিপক্ষে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা বার্সা ইয়াং বয়েজকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল। এবার দিল বায়ার্নকেও।
অন্য ম্যাচে লাইপজিগের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। স্পার্তা প্রাগকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে ইন্টার মিলান ১-০ গোলে জিতেছে। আতলেতিকো মাদ্রিদ ৩-১ গোলে হেরেছে লিলের কাছে।