সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। ফেরারির মতো ছুটছি, সামনে কোনো ভবিষ্যৎ নেইঃ ছাত্রলীগ নেতা। বিএনপি-জামায়াতের বাড়িঘরে হামলার নির্দেশ দিলেন হাসিনা। গোয়ালন্দে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দুই গ্রুপের পৃথক কর্মসূচি পালন। সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেফতার। সনাতন ধর্মাবলম্বী দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রতিমা ভাঙচুর। সাবেক ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুককে আটকে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ। তারাকান্দা নেতৃবৃন্দের সাথে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ’র সাথে  মতবিনিময় সভা। তারাকান্দা সদর ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত। শাবিপ্রবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৩ নভেম্বর।

আপিল করে জামিন চাইবেন মাহমুদুর রহমান।

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

আপিল করে জামিন চাইবেন মাহমুদুর রহমান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সাজার বিরুদ্ধে আপিল করবেন। আজ বৃহস্পতিবার তার পক্ষে আপিল করে জামিন চাওয়া হবে বলে জানান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন।

তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানকে দেয়া সাজার বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আমরা আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করব। সেই সাথে তার জামিন চেয়ে আবেদন করব। আপিল আবেদন গৃহীত হওয়া সাপেক্ষে আমরা আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দিন মামলাটিতে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

ওই দিন আত্মসমর্পণের আগে মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আজকে আত্মসমর্পণ করেছি। এ লড়াই অব্যাহত থাকবে। এ মামলা পুরোটাই সাজানো ও সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা। তৎকালীন সরকার ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা চালু রাখতে আমার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেছে।

 

আদালতে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। আদালতে শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, ২০১৫ সালে এই মামলার জন্ম হয়। এটা একটা পাতানো মামলা। এখানে মাহমুদুর রহমান ও শফিক রেহমানকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। তারা বলেন, গত ১৬ বছর একটি সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। ওই সরকারের প্রতি জনগণের কোনো সমর্থন ছিল না। জোর করে তারা ক্ষমতায় ছিল। মাহমুদুর রহমান দৃঢ়ভাবে ওই সরকারের সমালোচনা করতেন। সেই কারণে মামলার মুখমুখি হতে হয়েছে। বহুবার কারাগারে যেতে হয়েছে। তাকে হত্যার মুখোমখি হতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, একটা পর্যায়ে তাকে জোর করে দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।

গত বছরের ১৭ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য চারজন হলেন- আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এ দিকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে তুরস্ক থেকে দেশে ফিরেছেন মাহমুদুর রহমান।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102