মু,হেলাল আহমেদ(রিপন), পটুয়াখালী থেকেঃ মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী, বখাটে, সন্ত্রাসী ছেলে ও মাদক ব্যবসায়ী স্ত্রীর অত্যাচার, নির্যাতন ও খুন করার হুমকির ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পটুয়াখালী সদর উপজেলা ইউএনও অফিস থেকে অবসর প্রাপ্ত প্রসেস সার্ভেয়ার (জারিকারক) মোঃ রওশন আলী ফকির (৬০)।
ঘটনারসুত্রে যানাযায়,পটুয়াখালী সদর উপজেলার বহালগাছিয়া গ্রামে রওশন আলী ফকির ছেলের অপকর্মের সহ্য না করে কোর্টে মামলা দায়ের
এ ঘটনায় রওশন আলী নিজে বাদী হয়ে তার মাদকসেবী সন্ত্রাসী ছেলে আল আমিন (২৯) ও আল আমিনের সহযোগী আঃ রব সিকদার (৪০)কে চিহ্নত করে আরও ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলা করেছেন। মামলা নং সিআর ৬৫৯/২০ইং
মামলা সুএে যানাগেছে, মোঃ রওশন আলী ৪র্থ শ্রেনীর সরকারী কর্মচারী হিসেবে পটুয়াখালী এল.এ ও নেজারত শাখায় জারিকারক পদে সুনামের সাথে চাকুরি করে সর্বশেষ পটুয়াখালী সদর উপজেলা ইউএনও কার্যালয় থেকে ০১.০৫.২০ ইং তারিখ অবসর গ্রহন করেন রওশন আলী। তার এ অবসর গ্রহনের পূূর্ব থেকেই তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্রয়ে ছেলে আল আমিন বেপরোয়া চলাফেরা করে এবং মাদকাসক্ত আসক্ত হয়।
এক পর্যায় মাদক ব্যবসা শুরু করে। ছেলেকে ভালো পথে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বাবা রওশন আলী। ছেলে আল আমিন অবৈধ অস্ত্র দিয়ে জণগনকে ভয় দেখানোর অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কর্তৃক ১৫ দিন কারাভোগ করে। এছাড়াও মাদক ব্যবসার কারনে পুলিশ একাধিকবার তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় বলে জানাযায়।
উল্লেখ্য,নেশার জগত থেকে ফিরে আসার জন্য চাপ দিলে ছেলে আল আমিন বাবা রওশন আলীকে বিভিন্ন সময় লাঞ্ছিত ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসত।
এ ঘটনায় সদর থানায় অভিযোগ করায় আল আমিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। রওশন আলী, স্ত্রী ফরিদা পারভীনের অনুরোধে ছেলেকে দিয়ে অঙ্গীকার করায়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন। ইতিমধ্যে রওশন আলী ১৫.৬. ২০ ইং তারিখ অগ্রনী ব্যাংক লিঃ নতুন বাজার শাখা হতে অবসরের পাওনা বাবদ তার সঞ্চয়ী হিসাব নং হতে ২,৪০,০০০ টাকা উত্তোলন করে বাড়িতে গেল প্রথম ঘটনার দিন ১৫.৬.২০ তারিখ সোমবার বিকাল ৪ টার সময় মোটর সাইকেল কেনার নাম করে ২,৪০,০০০টাকা দাবী করে ছেলে আল আমিন।
উক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে দরজার লাট দিয়ে রওশন আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করলে সে দৌড়ে তার শোবার রুমে আশ্রয় নেয়। সেখানেও হামলা চালিয়ে উক্ত টাকাসহ হ্যান্ড ব্যাগটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় মাদকসেবী আল আমিন।
এ সময় তার ডাক চিৎকারে ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম, আয়ুব আলী, আবুল হোসেন, ইলিয়াস, ইউনুচ মৃর্ধা ঘটনাস্থলে দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করলেও ছেলে আল আমিন টাকা নিয়ে পালিতে যায়।
এ ঘটনায় মামলা করার উদ্যোগ নিলে স্ত্রী সহ উক্ত ব্যক্তিদের অনুরোধে মামলা করা থেকে বিরত থাকেন রওশন আলী। পরবর্তীতে আল আমিন পেনসনের টাকা আত্মসাতের অসৎ উদ্দেশ্যে সাদা চেক এর পাতায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার জন্য ছেলে আল আমিন কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে তার বাবা রওশন আলীকে খোঁজতে থাকে।
এ সময় রওশন আলী আঁচ করতে পেরে ১৬.৬.২০ ইং তারিখ ছোট ভাই আশরাফুলের সহযোগিতায় তার ভগ্নি মোমেলা বেগম ও ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর তালুকদারের বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য গয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ইং তারিখ শনিবার বিকাল আনুমানিক বিকাল ৫ টার দিকে ভগ্নপতির বাড়ি থেকে হাজীখালী বাজারে যাবার পথে ভগ্নিপতির বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বের পাকা রাস্তায় পৌছলে মাদকসেবী ছেলে আমিন ও আঃ রব সিকদার সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন সন্ত্রাসী তিনটি মোটরসাইকেলে এসে তাদের হাতে থাকা লেহার রড, হকিস্টিক, কাঠের লাঠি দিয়ে রওশন আলীকে এলোপাথারি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ সময় তার কাছে থাকা ১২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং সাদা চেকে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য তাকে মোটর সাইকেলে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা কালে তার ডাক চিৎকারে বোন মোমেলা, ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর তালুকদারসহ রানা তালুকদার, সাব্বির তালকদার ও কাওসার দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। তাকে ২৫০ শয্যা বিশিস্ট পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে আনাহয় বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
ছেলের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে রওশন আলী বাদী হয়ে উক্ত আদালতে মাদকসেবী ছেলে আল আমিনকে ও তার সহযোগী আঃ রব সিকদারসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির আদেশ দেন, বলে জানাযায়।