ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দুদক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার।
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে ঘুষ, অন্যায়, অত্যাচার, দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে আরও দূর এগিয়ে যেত। এমন কোনো বিভাগ বা ক্ষেত্র নেই যেখানে ঘুষ ছাড়া কেউ কোনো কাজ করাতে পারেন। আর কেউ পারলে তিনি ভাগ্যবান। এখন সরকারি দফতরে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না
চট্টগ্রামের এক স্বর্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা কামরুল হুদাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়ায় উপজেলার বাসিন্দা। তিনি দুদকের এএসআই হিসেবে কুমিল্লায় কর্মরত।
আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব এর আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় একটি রেস্তোরাঁ থেকে কামরুল হুদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম পরিমল ধর। তিনি নগরের হাজারী গলি এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত দুদক কর্মকর্তা কামরুল হুদা কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পরিমলের দোকানে যান। সেখানে কামরুল নিজেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পরিমলের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে কালো টাকা উপার্জন করার অভিযোগ তুলেন। একই সঙ্গে তিনি দুদকের একটি চিঠিও দেন। এরপর একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে কামরুল দোকান ত্যাগ করেন। বিষয়টি ভুক্তভোগী তার ভাতিজার সঙ্গে শেয়ার করেন। ভাতিজা বিষয়টি নিয়ে কামরুলের দেওয়া নম্বরে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত হয় কামরুলকে ২০ লাখ টাকা দিলে তিনি বিষয়টির সমাধান করবেন।
এ নিয়ে গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় টাকা রিসিভ করতে দুদক কর্মকর্তা কামরুল চকবাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে আসেন। অন্যদিকে বিষয়টি আগেই পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে অবহিত করে রাখেন ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সন্ধ্যায় উভয়ের মধ্যে বৈঠক চলাকালেও পুলিশ অভিযান চালিয়ে কামরুলকে গ্রেপ্তার করে। তাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার রাতে মামলা রুজু করে পুলিশ। মামলায় দুদক কর্মকর্তা কামরুল এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা ঢাকা পোস্টকে জানান, শনিবার রাতে মামলা দায়েরের পর রোববার সকালে অভিযুক্ত কামরুল হুদাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।