বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৯ অপরাহ্ন

শিশু-কিশোরদের ভোটের সুযোগ দিয়ে দায় শোধ করতে পারি।

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪

শিশু-কিশোরদের ভোটের সুযোগ দিয়ে দায় শোধ করতে পারি।

শিশু-কিশোর ও যুবকদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, শিশু-কিশোর ও যুবকরাই আমাদেরকে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। তাই তাদেরকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিয়ে আমাদের দায় শোধ করতে পারি। এ ব্যাপারে যারা বিরোধিতা করছে তাদেরকে শুধরানোর আহ্বান জানাই।

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে নীলফামারী সৈয়দপুর উপজেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে অনুষ্ঠিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

স্বাধীনতার ঠিকাদার সেজে চেতনার নামে আওয়ামী লীগ লুটেপুটে নিজেদের পুষ্ট করেছে উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা চুরি করে সব পাচার করেছে, দেশটাকে খুবলিয়ে খেয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে শূন্য কোটায় নিয়েছে। তারা স্বাধীনতার ঠিকাদার সেজে চেতনার নামে জাতিকে ঘুম পাড়িয়ে লুটেপুটে নিজেদেরকে পুষ্ট করেছে। আজ তাদেরই বড় কথা। যেন চোরের মায়ের ডাঙ্গর গলা। তাদের চেতনাবাজি নতুন প্রজন্মের কাছে ধরা পড়ায় তাদের শুধু পতনই ঘটেনি, দেশ থেকে তারা বিতারিত হয়েছে। তারাই স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়েছে।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার দাবি করে তিনি বলেন, চব্বিশের তরুণ যোদ্ধারা যে লক্ষ্য ও চেতনা নিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করেছে, তা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের সফলতাকে নস্যাৎ করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে পতিত স্বৈরাচার।

জামায়াত আমির বলেন, সর্বশেষ তারা সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়ে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র ধ্বংস করেছে। এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত তাদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের উপযুক্ত বিচার করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশটাকে আমরা সাজানো বাগান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রবীণ-নবীন সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে আমাদের। তাহলে অর্থনৈতিকভাবে খোকলা এ দেশকে আবারও সমৃদ্ধ ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আমরা এমন একটা দেশ গড়তে চাই, যে দেশে কোন বৈষম্য থাকবেনা। সকল ধর্মের, বর্ণের মানুষ মিলেমিশে সমান অধিকার ভিত্তিতে বসবাস করবে। সর্বক্ষেত্রে দেশাত্মবোধের মাধ্যমে দেশকে উন্নত করতে সচেষ্ট থাকবে। কোন চাঁদাবাজ, দুষ্কৃতকারী, দুর্নীতিবাজ থাকবে না। কেউ কোনভাবে অন্যায়ের শিকার হবেনা। থাকবেনা আয়না ঘর। কল্যাণমুখী এক দেশ গঠনের মাধ্যমে কল্যাণ রাষ্ট্রের মডেল উপস্থাপন করা হবে। মহান আল্লাহ পাকের সৃষ্টি খানা খন্দক নদ-নদীকে দুষণমুক্ত করতে হবে। যাতে কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসল ফলাবে। কোন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তার প্রতিষ্ঠান কেড়ে নেয়া হবেনা। কাউকে জুলুমের মাধ্যমে দমিয়ে রাখা হবেনা। শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে সমান্তরাল সমৃদ্ধ করে জাতিকে সাজানো বাগানের মতো দেশ উপহার দেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102