কর্মসূচি উপলক্ষে এক ঝাঁক সমমনা, তারুণ্য নির্ভর,উদীয়মান ছাত্র সমাজ যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যায়ন করেন সকলে একত্রিত হয়ে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন স্থান থেকে বৃক্ষ সংগ্রহ করেছে। রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা এবং রক্তদান কর্মসূচির ব্যবস্থাও করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তারালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুযোগ্য প্রধান শিক্ষক জনাব ফারুক হাসান, তারালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বাবুর রঞ্জিত কুমার ঘোষ, সমাজসেবার স্থানীয় পথিকৃৎ বাবুর শশাঙ্ক কুমার রায়, সমাজসেবক জনাব মিজানুর রহমান চন্দন, বিশেষ ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান মধু, শিক্ষক -সাংবাদিক শ্যামল কুমার মন্ডল এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে অত্র প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। যখন শিক্ষার্থীরা মোবাইলে আসক্ত হচ্ছে এবং বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত হচ্ছে ঠিক তেমনি সময়ে এ ধরনের কাজ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে বলে তারা মনে করেন। গাছ লাগানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশনের কর্মপরিকল্পনাকে আমন্ত্রিত অতিথিরা সাদুবাদ জানান।প্রতি বছর ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশনকেএ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং এলাকার মানুষের পাশে থাকার জন্য আহ্বান করেন বক্তারা।
গৃহহীনের গৃহ নির্মাণ,রক্তহীন এর রক্তদান,সেতু মেরামত, বন্যা দুর্গতদের প্রাণ সহায়তা করা, দুস্তদের আর্থিক সহযোগিতা করা, নিয়মিত রক্তদান করা, বৃক্ষরোপন করা ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন এর মূল লক্ষ্য বলে জানান ফ্রেন্ড স ফাউন্ডেশন এর সভাপতি রায়হানপাড়।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আলীরাজ হোসেন বারবার আজীবন ধরে এলাকার গরিব ও মেহনতি মানুষের পাশে থেকে নিরালাশ ভাবে সমাজসেবার অভিব্যক্তি ব্যাপ্ত করেন।
এলাকাবাসীর সাথে কথোপকথনে জানা যায় আমরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেখে বিস্মিত হয়েছি। আমাদের শুনে ভালো লাগছে যে আমাদের ছেলেরা এ ধরনের কর্মকান্ড হাতে নিয়েছে। আমরা চাই দীর্ঘদিন ধরে ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন পরিচালিত হোক এবং এর উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি হোক।