দলীয় মনোনয়নের সাক্ষাৎকারে ডাকা হয়েছে খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম ও পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আব্দুল মজিদ এবং ছাত্র দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক।
নির্বাচন কমিশনের সম্ভাব্য তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্তত ছয় নেতা প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়ে আসছেন। এর মধ্যে বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক আমিরুল ইসলাম কাগজী ।
স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা বলছেন, খুলনা–৬ আসনে এখন বিএনপির ভালো জনসমর্থন তৈরি হয়েছে। এর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে এ আসনে শরিক দল জামায়াতে ইসলামী দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ না নিলে জামায়াতই বিএনপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে বলে মনে করছেন নেতারা।
কয়রা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি প্রভাষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আগে জামায়াতের প্রার্থীরা এই আসনে দুবার জিতেছেন। তাদের অবস্থান ভাঙতে হলে জনপ্রিয় ও তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত এমন কাউকে মনোনয়ন দিতে হবে।’
সাবেক ছাত্র নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক বলেছেন, খুলনা-৬ আসনের সবাই সাথে দলের চেয়ারম্যান কথা বলবেন।এর মধ্যে একজনকে মনোনয়ন দিতে পারে।যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে।
কয়রা ও পাইকাছার স্থানীয় নেতাদের প্রত্যাশা, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত যেভাবেই আসুক, সবাই মিলেই নির্বাচনী মাঠে একযোগে কাজ করবেন।