জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর বেনাপোল পোর্ট থানার ভবেরবেড় বাইপাস সড়কের ট্রাক টার্মিনালের সামনে বিজিবি (ঢাকা মেট্রো ট-২২-৭৫৬৬) নম্বরের একটি বাংলাদেশি ট্রাক থেকে অবৈধ পণ্যচালান আটক করে। এই ঘটনার পর ২৩ সেপ্টেম্বার বেনাপোল স্থলবন্দরের কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, ওইদিনের বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের ৯, ১০, ১১ এবং ছোট আঁচড়া মোড় গেটে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা অবৈধ পণ্য পাচারের ঘটনায় জড়িত ছিলো। জড়িতরা হলেন নাজমুল হক, কৃষ্ণ কুমার দাস, শ্রী আনন্দ কুমার দাস ও রাসেল শেখ।
এ ছাড়া ওবেনাপোল বন্দরের আনসার ক্যাম্পের দুই জন প্লাটুন কমান্ডার শ্রী অসিত কুমার বিশ্বাস এবং ইয়ামিন কবীর একই ঘটনায় সম্পৃক্ত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।তদন্তের ভিত্তিতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় থেকে উল্লিখিত আনসার সদস্যদের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে প্রত্যাহার এবং তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ও ১৫ই অক্টোবর থেকে তাদের বায়োমেট্রিক হাজিরা স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে, বেনাপোল স্থলবন্দরের বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা আল আরাফাত সার্ভিসেস লিমিটেডের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল আমিন সিকদারের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে প্রকাশিত অনিয়ম সংক্রান্ত প্রতিবেদনের সত্যতা মেলায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে বরখাস্ত করেছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (উপসচিব) শামীম হোসেন রেজা বেনাপোল বন্দরের আনসারের দুই প্লাটুন কমান্ডার প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,‘যাহা সংশ্লিষ্ট কেউ আর বেনাপো বন্দরের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অপরদিকে, স্থলবন্দরের বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা আল আরাফাত সার্ভিসেস লিমিটেডের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল আমিন সিকদারকে অনিয়মের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানায়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেনপোল বন্দর এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ভবিষ্যতে আরও কঠোর নজরদারি করা হবে বলেজানান।