কলেজটির দীর্ঘদিন ধরে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের নিরলস ভাবে পরিচর্যা করে আসছে। প্রতিদিন ক্লাসের পাশাপাশি নাইট কোচিং এর ব্যবস্থা ছিল বিগত এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য। শুধু তাই নয় ছাত্র ছাত্রীর নিয়মিত খোঁজখবর নেয়া, তাদের বাড়িতে যেয়ে প্রয়োজনে পাঠ বুঝিয়ে দিয়ে আসা, গরিব ও মেধাবীদের সাহায্য প্রদান কলেজটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
সাক্ষাৎকারে কাজী আলাউদ্দিন ডিগ্রী কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ জনাব মোঃ আরিফ বিল্লাহ বলেন, আমার কলেজের শিক্ষকরা অত্যন্ত নিবেদিত প্রাণ। কলেজের প্রত্যেক শিক্ষক প্রতিদিন ক্লাস শুরু হওয়ার সময় হতে ক্লাস শেষ হবার সময় পর্যন্ত কলেজেই অতিবাহিত করেন। ক্লাসগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা আমি সব সময় মনিটরিং করি। মাঝেমধ্যে অভিভাবক সমাবেশ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করি।
গত এইচএসসি পরীক্ষায় কাজী আলাউদ্দিন ডিগ্রী কলেজ থেকে ১২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল তার মধ্য থেকে ৭৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে যা ৬৫•২৫%।
কাজী আলাউদ্দিন ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক বাবু রামপ্রসাদ ঘোষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইংরেজিতে শিক্ষার্থীদের দৈনতা কমানোর জন্য তিনি সার্বক্ষণিক তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন এবং প্রয়োজনে অনলাইনে তাদেরকে সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করতেন।
তবে ফলাফলে সবাই খুশি হলেও কলেজের ভৌত অবকাঠামো এবং সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিদ্যাপীঠের সকল শিক্ষার্থীরা চিন্তিত। শিক্ষকরা মনে করেন যদি ভৌত অবকাঠামোর উন্নতি হয় এবং যদি সরকারি সকল সাহায্য সহযোগিতা অত্র বিদ্যাপীঠে পৌঁছায় তবে কলেজটি উত্তরোত্তর এগিয়ে যাবে এবং দক্ষিণ বাংলার একটি মডেল বিদ্যাপীঠ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে।