প্রযুক্তিগত সহায়তা ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে গত রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটে খুলনার ডুমুরিয়া থানাধীন বালিয়াখালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সেলিম শেখ একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা “এম এক্স লিমিটেড” নামে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরাতন লোহা বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে মোট ১ কোটি ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এজন্য তারা মিথ্যা ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করে, অফিস সাজিয়ে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করে এবং সেই স্থান থেকেই অর্থ আদায় করত।
এই ঘটনায় ঢাকার শ্যামপুর থানায় ২০২৪ সালের ৮ মার্চ মামলা (নম্বর-১১) দায়ের করা হয়, দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে।
এ মামলায় এর আগে পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্রেপ্তার হুমায়ুন কবীর আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে সেলিম শেখের সক্রিয় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।
দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা সেলিম শেখ বিভিন্ন ভুয়া নামে মোবাইল সিম ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করলেও, সিআইডির নিরবচ্ছিন্ন গোয়েন্দা তৎপরতা ও প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে সিআইডির অভিযান অব্যাহত রয়েছে।