বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখার অভিযানে চঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস সাংবাদিক এএসএম হায়াত উদ্দিন হত্যা কাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও দুই আসামী গ্রেফতার।
মাননীয় পুলিশ সুপার,জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান,বাগেরহাট মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) জনাব মোঃ শরিফুল ইসলাম,অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা বাগেরহাট এর নেতৃত্বে গঠিত ডিবির একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে চঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস হত্যা কাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত আসামী ১। মোঃ ওমর ফারুক @ ইমন হাওলাদার (২৫),পিতা- মোঃ শহিদুল হাওলাদার, মাতা-মোছাঃ রঞ্জিতা বেগম,সাং- গোপাপলকাটি, থানা- বাগেরহাট সদর, জেলা- বাগেরহাট ও ২। মোঃ আশিকুল ইসলাম @ আশিক (২৫),পিতা- মোঃ আব্দুল হাই,মাতা- মোছাঃ তাসলিমা বেগম, সাং-গোপালকাটি, থানা- বাগেরহাট সদর, জেলা-বাগেরহাটদ্বয়কে গত ০৫/১০/২০২৫ খ্রিঃ বিকাল ১৭.৫০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন আশুলিয়া পল্লি বিদ্যুৎ এলাকায় নিউ গোল্ডেন সিটি আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার ১১৮ নং কক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, ভিকটিম এএসএম হায়াত উদ্দিন(৪২)জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। ডিসিস্ট তার ফেসবুক আইডিতে সচেতনা মূলক একটি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে আসামীদের সাথে বিরোধের সূত্রপাত হয়। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় সহ তাদের অন্যান্য সহযোগী আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে পরস্পর যোগসাজসে ডিসিস্ট এএসএম হায়াত উদ্দিন(৪২)কে চাপাতি, ধারালো রামদা, ছুরি, লোহার রড,লোহার হাতুড়ী, ধারালো হাসুয়া ও লাঠিসহ মটরসাইকেল যোগে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ী ভাবে কুপিয়ে মাথায়, ঘাড়ে, পাজোরে, পেটে, পায়ে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে ডিসিস্ট এএসএম হায়াত উদ্দিন (৪২)কে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডিসিস্টকে মৃত ঘেষণা করে। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে বাগেরহাট সদর মডেল থানার মামলা নং-০২, তাং-০৫/১০/২০২৫ খ্রিঃ,ধারা-৩০২/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। আসামীদ্বয়কে অদ্য ০৬/১০/২০২৫ খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের নিমিত্তে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।