পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, গত ২৬ আগস্ট বিকেলে সামিরা তার চাচার সঙ্গে স্থানীয় ঘুগরাকাটি বাজারে যায়। সেখান থেকেই নিখোঁজ হয় সে। পর দিন থেকেই পরিবার তাকে খুঁজে ফিরছে গ্রাম থেকে গ্রামে, কিন্তু কোনো খোঁজ মেলেনি। ঘটনার পর সামিরার মা বিলকিস বেগম কয়রা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
শিশুটির বাবা মো. শাহ আলম বলেন, “আমার মেয়ে এত দিন ধরে নিখোঁজ, তবু প্রশাসন কোনো খবর দিতে পারেনি। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিন। সে যদি আর না বেঁচেও থাকে, অন্তত আমরা জানতে চাই।”
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, “আমাদের বাড়িতে এখন কেবল কান্না। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ, ঘুম হারাম হয়ে গেছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কয়রা এলাকায় শিশু নিখোঁজের ঘটনা বেড়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর জায়গীরমহল গ্রামের শিশু আব্দুল মোমিন (৮) এবং ১৬ সেপ্টেম্বর মদিনাবাদ গ্রামের রুমান হোসেন (৯) নিখোঁজ হয়। একদিন পর দুজনকেই উদ্ধার করা হলেও বিষয়টি নিয়ে পরিবারগুলো মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
নিখোঁজ সামিরার প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম বলেন, “দেড় মাস হয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। পরিবারটা ভেঙে পড়েছে। এলাকায় এখন শিশুদের নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।”
এ বিষয়ে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব হোসেন বলেন, “আমি নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। পরিবারের কেউ এখনো সরাসরি যোগাযোগ করেননি। তবু শিশুটিকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।