রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে গুইমারার রামসু বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারীদের সরানোর চেষ্টা করলে অবরোধকারীরা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও গুলি ছুড়েন। এ সময় সেনাবাহিনীর ১২ সদস্য সহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও কয়েকজন আহত হন।
জানা গেছে, গুইমারাতে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকা অবস্থায় অবরোধের সমর্থনে রাস্তায় পিকেটিংয়ের নামে নাশকতা করে অবরোধ সমর্থকরা। এ সময় তারা রামসু বাজার এলাকায় দোকানপাট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘১৪৪ ধারা বলবৎ থাকায় অবরোধকারীদের সরাতে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কিছু লোক রামসু বাজারে মোটরসাইকেল, দোকানপাট ও বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এখনো পরিস্থিতি উত্তপ্ত।’
তিনি বলেন, ‘অবরোধের সমর্থনে পুরো গুইমারার বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবস্থান নিয়েছে অবরোধকারীরা।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হলেও পরে তা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়। কিছুক্ষণ পর মধ্য রাতে আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা আসে। দিনভর অবরোধকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুষ্কৃতিকারীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিনত হয় গুইমারা উপজেলা সদর।