জামিনে বেরিয়ে আবারও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুখোমুখি রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের দুটি গ্রুপ। যার নেতৃত্বে চুয়া সেলিম ও বুনিয়া সোহেল। আগস্টেই কয়েক দফা সংঘাতে নিহত হয়েছেন একজন। আর একবছরে প্রাণহানি অন্তত ৫ জনের।যেকোনো সময় নতুন করে সহিংসতার শঙ্কায় স্থানীয়রা।
এদিকে, যৌথবাহিনীর অভিযানে ২০ জন গ্রেপ্তার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল অপরাধীরা।
রাজধানীতে মাদকের সবচেয়ে বড় আখড়া মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প। আওয়ামী আমলেও নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারও। সম্প্রতি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও দেশিয় অস্ত্রের মহড়া চালায় দুই গ্রুপের সদস্যরা। এ নিয়ে আতঙ্কে মোহাম্মদপুরবাসী।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এখানে প্রায়ই মারামারি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত তো আমরা হচ্ছি। আরেকজন বলেন, পুলিশ আসলে ওরা ভেতরে চলে যায়। আবার চলে গেলে ওরা বের হয়ে সংঘাত সৃষ্টি করে।
ক্যাম্পের মাদকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুটি গ্রুপের কোন্দল দীর্ঘদিনের। একটির নেতৃত্বে হত্যাসহ ৩৫টি মামলার আসামি চুয়া সেলিম। জানুয়ারিতে গ্রেপ্তার হয়ে ছয়মাস পর মুক্তি পান তিনি। তার সাথে একই গ্রুপে আছে সৈয়দপুরিয়া জাহিদ, পার মনু আর পিচ্চি রাজাসহ তিনটি দল
অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ১৮টি মামলার আসামি বুনিয়া সোহেল। অক্টোবরে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সম্প্রতি তিনিও মুক্তি পেয়েছেন। তার সাথে রয়েছে শান্তি গ্রুপ। জামিনে বেরিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছেন চিহ্নিত এই সন্ত্রাসীরা। তাদের নিয়ন্ত্রণে অসহায় পুলিশও।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জুয়েল রানা বলেন, ‘হঠাৎ করে কয়েকটি গ্রুপ এক হয়ে গেছে। তারা ভাবছে, এভাবে পুলিশ এলে তো জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসায়ীদের অস্তিত্বই থাকবে না, তাই তারা সক্রিয়।’
গণঅভ্যুত্থানের পর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয় অস্ত্র। পরে তা দিয়ে চালানো হয় হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য অপরাধকর্ম।