এর প্রতিক্রিয়ায় সন্ধ্যায় বিবৃতি দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, “সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।”
“আমরা এরই মধ্যে এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছি। আমাদের তেল আমদানি বাজারভিত্তিক এবং ভারতের ১৪০ কোটির বেশি মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সার্বিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই করা হয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করাকে আমরা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মনে করি। বিশেষত যখন অন্যান্য অনেক দেশও তাদের জাতীয় স্বার্থে একই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা আবারও জোর দিয়ে বলছি, এসব পদক্ষেপ অবিচারপূর্ণ, অযৌক্তিক এবং অযথা। ভারতের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করব।”
ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে যে শুল্ক বসিয়েছে তা আগামী ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। তার আগেই ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হলো।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এক নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। তাতে বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্কের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। ওই আদেশে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানানো হয়।
পাশাপাশি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার কারণে অতিরিক্ত জরিমানা আরোপের কথাও বলা হয়। তবে কী পরিমাণ জরিমানা আরোপ করা হবে, সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।