অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটিকে ঘিরে ধরে ইউক্রেনীয় ড্রোনের ঝাঁক। তবে, তার নিরাপত্তায় থাকা যুদ্ধবিমানবহর তাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়।
হামলার বিষইয়টি নিশ্চিত করেছেন রুশ বিমান প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। ইউক্রেনের কুরস্ক অঞ্চলে সফরের সময় এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘রাশিয়া ১’-এ রোববার (২৫মে) প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য প্রকাশ করেন বিমান প্রতিরক্ষা বিভাগের কমান্ডার ইউরি দাশকিন।
দাশকিন জানান, ‘কুরস্ক অঞ্চলে প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার যখন উড়ছিল, তখন শত্রু পক্ষের ড্রোন হামলার গতি ও মাত্রা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের ইউনিটগুলোকে একযোগে আকাশ প্রতিরক্ষা যুদ্ধ এবং হেলিকপ্টার রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হয়।’
তিনি আরও জানান, ইউক্রেন ওই সময় রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অভূতপূর্ব মাত্রার ড্রোন হামলা চালায়। রুশ বাহিনী মোট ৪৬টি ফিক্সড-উইং (স্থিরডানা) ইউএভি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।
প্রসঙ্গত, পুতিন সম্প্রতি ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাত থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হওয়া কুরস্ক অঞ্চল সফর করেন। সেখানে তিনি স্থানীয় গভর্নর আলেকজান্ডার খিনস্টেইন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, এই ড্রোন হামলা সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিতব্য শান্তি আলোচনাকে ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে।
তবে মস্কো শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যাপারে এখনো আগ্রহী এবং গঠনমূলক সংলাপের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি অটুট রয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।