বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

ধর্মীয় শিক্ষক ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অনৈতিক সম্পর্ক, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও ক্লাস বর্জন

মোঃ তরিকুল মোল্লা,(ফকিরহাট,বাগেরহাট সদর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫

বাগেরহাট সদরের রাখালগাছি পল্লী উন্নয়ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মো: রবিউল ইসলাম ও একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির পরিচ্ছন্নতা কর্মী মাছুরা খাতুনের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ড পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বিচার ও অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় শিক্ষকের ক্লাস বর্জন করেছেন এবং ধর্মীয় শিক্ষককে অপসারণ না করলে তারা সকল ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, ধর্মীয় শিক্ষক মো: রবিউল ইসলাম এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী মাছুরা খাতুন বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে কথাবার্তা বলেন। তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়টি বিদ্যালয় ছাড়াও আশেপাশের লোকজনও অবগত। বিভিন্ন জায়গায় তাদের পরকীয়া প্রেমের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। আমরা আমাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তাদের বিচার ও অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, অভিভাবক, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী দীর্ঘদিন ধরে এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত আছেন। তাদের চলাফেরা ও অঙ্গভঙ্গি দেখে শিক্ষার্থীরা বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের কাছে জানান। একটি বালিকা বিদ্যালয়ে তাদের এ ধরনের আচরণ শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাদের বিদ্যালয় থেকে অপসারণ করা ছাড়া আর কোন বিকল্প উপায় নেই।

এ ঘটনায় ধর্মীয় শিক্ষকের স্ত্রী সৈয়দা আয়েশা খাতুন বিদ্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের রুহানি আফরিন নামে ১১ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে ধর্মীয় শিক্ষক মো: রবিউল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

ঘটনার বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, ধর্মীয় শিক্ষক রবিউল ইসলাম এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী মাছুরা খাতুনের সম্পর্কের বিষয়টি অনেক আগেই জেনেছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। তার স্ত্রী বিদ্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102