কুমিল্লার দেবিদ্বারে সৎ বাবার বিরুদ্ধে ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে সৎ বাবা জামাল হোসেনকে যৌথবাহিনী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। জামাল হোসেন পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন।
এর আগে, শুক্রবার (৪ মার্চ) রাতে কুমিল্লা দেবিদ্বার পৌরসভার বারেরার কাজীবাড়িতে ঘটনা ঘটে।
শনিবার বিকেলে সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনার পর শিশুটি তার মাকে জানালে তার মা এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন এবং কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখায়, বললে মেরে ফেলারও হুমকি দেন। পরে শিশুটি বাড়ির প্রতিবেশীদের জানালে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের বিক্ষুব্ধ জনতা অটোরিকশা চালক জামালের বাড়ি ঘেরাও করে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে জামালকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শিশুর নানা মো.শক্কুর মিয়া জানান, দেড় মাস আগে মেয়েকে দাউদকান্দি উপজেলা গৌরিপুরের দক্ষিন দারিবন গ্রামের বাসিন্দা জামাল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেই। এটি দু’জনের দ্বিতীয় বিয়ে। জামাল হোসেন দেবিদ্বার পৌরএলাকা বারেরা কাজি বাড়িতে ভাড়া বাসায় থেকে দেবিদ্বার এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে আসি। আমার নাতনির বুকে কামড়ের দাগ দেখতে পাই।
শিশুর মামা সজীব বলেন, আমার বোনের প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডির্ভোস হওয়ার পর ভাগনি চান্দিনার খিরাসার গ্রামে আমাদের বাড়িতে থাকতো। ঈদের দু’দিন আগে আমার বোন ও তার স্বামী আমাদের বাড়ি গিয়ে ভাগনিকে এই বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসেন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ছামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রামবাসী আটক করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে জামাল হোসেন ও তার স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ভিকটিম শিশুকে পরীক্ষার নিরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে৷