যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জগুলো টালমাটাল অবস্থার মধ্য দিয়ে দিন পার করে। একদিনে সূচকগুলো গড়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণার জবাবে চীনও একই পরিমাণ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়। এই পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ বাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
এনবিসি নিউজ জানায়, শুক্রবার এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ৬ শতাংশ কমে যায়, যা মহামারি পরবর্তী সময়ে সূচকের সবচেয়ে বড় পতন। প্রযুক্তিনির্ভর নাসডাক সূচক কমেছে ৫.৮ শতাংশ এবং ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ হারিয়েছে ২,২০০ পয়েন্টের বেশি বা প্রায় ৫.৫ শতাংশ। ছোট ও মাঝারি কোম্পানিগুলোর স্টক ট্র্যাক করে এমন রাসেল ২০০০ সূচকও ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো এ অস্থিরতা মার্কিন ট্রেডিং ফ্লোরে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। একদিন আগেও এসঅ্যান্ডপি সূচক কোভিড-১৯ এর প্রথম দফার পর সবচেয়ে বাজে দিনটি অতিক্রম করেছিল।
চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ১০ এপ্রিল থেকে সব মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা কিছু দুর্লভ পণ্যের রপ্তানিতেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাণিজ্যযুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে।
চীনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক পোস্টে লিখেছেন, “চীন ভুল খেলেছে। তারা আতঙ্কিত। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, তাদের এই যুদ্ধে টিকে থাকার সক্ষমতা নেই।