মগবাজারের ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের সামনে ডিপিডিসির বৈদ্যুাতিক খুঁটিতে রেন্ট-এ-কারের সাইনবোর্ড টানাতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় হাসপাতাল ভাঙচুর ও স্টাফদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে হাসপাতালের ১১ জন কর্মচারী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২০-২৫ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়ের করেন হাসপাতালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এম এম আব্দুল কাইয়ুম আল ফয়সাল।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১০টায় মগবাজারের ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের সামনে অবস্থিত বৈদ্যুাতিক খুঁটিতে এবিএস রেন্ট-এ-কারের সাইনবোর্ড টানাতে নিষেধ করলে রেন্ট-এ-কার প্রতিষ্ঠানের লোকজন ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হাসপাতালের এজিএম মো. হাফিজুর রহমানকে ভয়ভীতি ও হুমকি এবং হাসপাতালের স্টাফদের লোহার রড, কাঠ ও বেতের লাঠি, স্টিক নিয়ে আক্রমণ করে। আক্রমণকারীরা দলবদ্ধ হয়ে হাসপাতালের এজিএমকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে হাসপাতালের ডিউটিরত স্টাফরা তাদের বাধা দিলে রেন্ট-এ-কারের মালিক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে প্রিন্স, সাইদ, ওয়াহিদ, সুমন, লিমন, শুভ এবং রেন্ট-এ-কারের স্টাফরা এই হামলা চালায়। তারা হাসপাতাল ভাঙচুরসহ স্টাফদের ওপর আক্রমণ করে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, আক্রমণকারীদের হাতে থাকা বেতের লাঠি, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রের এলোপাথাড়ি আক্রমণে হাসপাতালে কয়েকজন স্টাফ গুরুতর জখম হয়। এদের মধ্যে ইলেক্ট্রিশিয়ান মো. হানিফ, কেয়ারটেকার মো. কবির হোসেন, পরিচ্ছন্নকর্মী মো. সোহেল, এটেন্ডেন্ট মো. রেজওয়ান, মো. হাসান সরদার, ইলেক্ট্রিশিয়ান মো. নাঈম ইসলাম, সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. ফকরুল ইসলাম, রিসিপশন ইনচার্জ মো. আজিজুল ইসলাম, মো. রিয়াজ সরদার, মো. রেজা, মো.রুবেল হোসেনসহ আরও কয়েক জন গুরুতর আহত হন।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলাকারীরা হাসপাতালের স্টাফদের মানিব্যাগে থাকা নগদ টাকা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও হাসপাতালের মালামাল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আনুমানিক আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি করে।
এ প্রসঙ্গে হাতিরঝিল থানার ডিউটি অফিসার এস আই আলামিন বলেন, রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখনও কোনও আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।