কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম আরো বলেন যে, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকা কালে মুক্তেোদ্ধাদের দলীয় সংকীর্ণতার উর্ধ্বে রেখে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে যথাযত সম্মান দিয়েছেন। এছাড়া বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের চোখে দেখেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে, বিগত ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রের মত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যেও নগ্ন দলীয় করণ করে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মধ্যে চরম বিভাজন সৃষ্টি করেছে। যে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাগণ বিএনপি’র সমর্থক হিসেবে পরিচিত, তাদেরকে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্বেও তাদেরকে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। ধানের শীষকে ভালবাসে বলে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার ক-তালিকা ভূক্ত অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চলমান ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে। কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম রামপালের ক-তালিকা ভূক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম.রশিদ-এর উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, শুধু বিএনপি’র সমর্থক হওয়ার কারণে তার চলমান ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম.রশিদ এর পর মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলে মহামান্য হাইকোর্ট এস,এম,রশিদকে ভাতা দেয়ার নির্দেশ দিলেও তালুকদার আঃ খালেক ও হাবিবুন নাহার এর নির্দেশে ফ্যাসিষ্ট আমলে দায়িত্বরত রামপাল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেখ মোজফফার হোসেন তার ভাতা আটকে দেয়। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা রশিদ বিষয়টি তৎকালীন জেলা প্রশাসককে জানালেও কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন যে, রামপালের বীরমুক্তিযাদ্ধা এস.এম.রশিদ,আঃ হাকিম,শেখ আলতাপ, আঃ মান্নান এর মত সারা দেশে অসংখ্য প্রকৃতবীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার বিএনপি’র সমর্থক হওয়ার কারণে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মুক্তেোদ্ধার ভাতা আটকে দিয়েছে বা অনেককে দেয়নি।
কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে, বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে সারা বাংলাদেশে যে সমস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হয়রাণি করা হয়েছে , অতি সত্ত্বর তাদের প্রাপ্য সম্মান বুঝে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন যে, মুক্তিযোদ্ধাদের কোন দল নেই-তারা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। আমাদের সকলকে তাদের সম্মান করা উচিত।