জবির ময়মনসিংহ জেলা ছাত্র কল্যাণের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল-আমিনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান বিন হক অনিকের বিরুদ্ধে। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহ-সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেতের অনুসারী।
রোববার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ক্যাম্পাসে এলে টিএসসিতে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
ভোক্তভোগী আল আমিন গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে যোগ দিতে সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। এদিন টিএসসির সিরাজের চায়ের দোকানে এলাকার কিছু জুনিয়রদের সঙ্গে আড্ডাকালে অতর্কিত হামলা করে অনিক ও তার সহযোগীরা। আহত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে ন্যাশনাল হাসপাতানে নিয়ে যায় সাথে থাকা কয়েকজন। পরে সেখান থেকে খিদমা হাসপাতে গিয়ে চোখের চিকিৎসা নিয়েছি।
তিনি বলেন, নাহিয়ান বিন হক অনিকের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায় হলেও ময়মনসিংহসহ আশেপাশের জেলার সব তার নিজের লোকদের বসাতে চায়। এ নিয়ে সে আমার ওপর বিরক্ত হয়ে দলবল নিয়ে হামলা করে। অনিকের নেতৃত্তে তুষার পাল(৭ম ব্যাচ) , ২০১২-১৩ সেশনের রাশেদ বিন হাশিম (৮ম ব্যাচ), আহম্মেদ কাওসার আকাশ (৮ম ব্যাচ), রাশেদুল ইসলাম রাহাত (১১তম ব্যাচ), মিয়া রাসেল (৯ম ব্যাচ), সোলাইমান খান সাগর (১১তম ব্যাচ), ইসরাফিল (১৩তম ব্যাচ), ওমর ফারুক (১২তম ব্যাচ)সহ অন্যরা হামলা চালায়
তবে অভিযুক্ত নাহিয়ান বিন হক অনিক মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে করে গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্রকল্যাণ নিয়ে তার সাথে আমার কোনো ঝামেলা নেই। এমনকি এ ঘটনার আগে আমি তাকে চিনতামও না। সবাইকে নিয়ে টিএসসিতে বসে ছিলাম, পাশে তিনিও ছিলেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্রলীগের বানানো ছাত্র কল্যাণের নেতৃবৃন্দকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। তিনি তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছিলো। এদিন ক্যাম্পাসে আসলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া দেয়। পরে আমরা তাদের সেফ করেছি।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে বাইরে যাই না কিছুদিন। মারামারির ঘটনা শুনেছি বিস্তারিত জানি না। ঘটনা সত্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি।