ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ২১৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৮০৮ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৮ জনে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৪২৫ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৫৪ জন, বরিশালে ১০২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২১ জন, খুলনায় ৯১ জন, ময়মনসিংহে ২১ জন ও রাজশাহীতে ৬৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। অন্যদিকে মারা যাওয়া ১৮৮ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ডেঙ্গু ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আমাদের সব জায়গায় হাসপাতালগুলোকে অ্যালার্ট (সতর্ক) করে দেওয়া আছে। এ বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ মাসে ডেঙ্গুজ্বরে ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতবছর এ সময়ে ডেঙ্গুজ্বরে ৯৮৭ জনের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সকলকে সচেতন করতে। বিভিন্ন জায়গায় কথা বলছি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।